193112

কলেজের মধ্যেই শারীরিক সম্পর্ক করতে চাইত!

ডেস্ক রিপোর্ট : রিষড়া বিধান কলেজে ইউনিয়ন রুমের মধ্যেই শ্লীলতাহানির ঘটনায় চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন নির্যাতিতা ছাত্রী। ওই ছাত্রীর অভিযোগ, জিএস সাহিদ হাসান জোর করে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করত। কিন্ত তাঁর সেই প্রস্তাবে সায় না দেওয়াতেই ওই ছাত্রীকে সাহিদের রোষানলে পড়তে হয় বলে অভিযোগ।

নির্যাতিতা ছাত্রী জানিয়েছেন, সাহিদের কুপ্রস্তাবে সাড়া না-দেওয়ার পর থেকেই কলেজে নানাভাবে হেনস্থা করা হত তাঁকে। তাঁকে উদ্দেশ করে গালগালি, টিটকিরি দেওয়া হত। দেওয়া হত খুনের হুমকি। এমনকি উইকেট দিয়ে আঘাতও করা হয় তাঁকে। ওই ছাত্রী জানিয়েছেন, সেদিন ইউনিয়ন রুমে তাঁর কাছে ফোন দেখতে চায় সাহিদ। কিন্তু ফোন দেখাতে রাজি না হলে, তাঁর হাত থেকে ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। তারপরই তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করেন সাহিদ। তাঁকে মারধর করা হয়। গলা টিপে ধরে সাহিদ। বোতল ভেঙে পেটে ঢুকিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় সে।

প্রভাবশালীর ছেলে হওয়ায় এই ঘটনা প্রথমে মুখ বুজেই সহ্য করছিলেন ওই ছাত্রী। কিন্তু বুধবার সাহিদ হোসেন ফের একই ধরণের আচরণ করায়, শ্রীরামপুরের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। নির্যাতিতা ছাত্রী জানান, বুধবার কলেজ যাওয়ার পরই তাঁকে ইউনিয়ন রুমে যেতে নির্দেশ দেয় সাহিদ। ইউনিয়ন রুমে এরপর ফের তাঁর গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করেন সাহিদ। একইসঙ্গে ফের তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। এরপরই কলেজে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানের সুযোগে কোনওমতে ইউনিয়ন রুম থেকে পালিয়ে সোজা পুলিসের কাছে যান তিনি।

অভিযোগ, তারপর থেকে তাঁকে ক্রমাগতই হুমকি দিয়ে চলেছে সাহিদ। এমনকী বৃহস্পতিবার সকালেও সাহিদ ওই ছাত্রীর বাড়িতে অনুগামীদের পাঠিয়ে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। শুধু এটাই নয়। সাহিদ হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতিরও অভিযোগ এনেছেন ওই ছাত্রী। অভিযোগ, দু্র্নীতির প্রতিবাদ করলেই নিজেকে ‘কলেজের বাপ’ বলে দাবি করত সাহিদ। এমনকী সাহিদ জোর খাটিয়ে জিএস হয়েছেন বলেও দাবি করেছেন ওই ছাত্রী।

সামনে তৃতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা। ছাত্রী বলেন, এই পরিস্থিতিতে কলেজ যেতে পারছেন না তিনি। বাড়ির বাইরে পা রাখতেই ভয় করছে তাঁর। পাশাপাশি তাঁর আরও দাবি, বেশ কয়েকবার অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়ে ঘটনার কথা জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেননি তিনি। কিন্তু অধ্যক্ষ রমেশ করের দাবি, ওই ছাত্রী তাঁর কাছে কোনও অভিযোগ জানাননি। যদিও নির্যাতিতা ছাত্রী জানিয়েছেন, অধ্যক্ষের সামনেই চিঠি দিয়ে এসেছিলেন তিনি।

এদিকে শ্লীলতাহানির মতো গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত সাহিদ হাসানের পালটা অভিযোগ, সেদিন মত্ত অবস্থায় কলেজে এসেছিলেন ওই ছাত্রী। ইউনিয়ন রুমের বাইরে গন্ডগোল করছিলেন তিনি। ওই ছাত্রীই প্রথম তাঁর গায়ে হাত তোলে। যদিও এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন নির্যাতিতা ছাত্রী। উৎস: জি-নিউজ।

ad

পাঠকের মতামত