192868

বাবার বিয়ে আটকাতে যা করল দুই যুবতী !!

বছর দুয়েক আগে একমাত্র ছেলে যখন মারা যায়, তখন তার বয়স মাত্র বারো। দুই যুবতীর মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তাই ফের বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। কারণ, তিনি যে পুত্রসন্তান চান! পুত্র শোক তো ছিলই, তার উপর স্বামীর ফের বিয়ের করার সিদ্ধান্তে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন স্ত্রী। তাই মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে রাজস্থানের সরকারি হাসপাতালে সদ্যোজাত পুত্র সন্তানকে চুরি করেছিল দুই যুবতী। উত্তরপ্রদেশের মথুরা থেকে দু’জনকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই যুবতীর নাম শিবানী দেবী ও প্রিয়াঙ্কা দেবী। একজনের বয়স ২৩, আর একজনের ২০। গত ১০ জানুয়ারি রাজস্থানের ভরতপুরের সরকারি হাসপাতাল থেকে একটি সদ্যোজাত শিশুপুত্র নিখোঁজ হয়ে যায়। ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। খবরের কাগজ পড়ে সেকথা জানতে পারে শিবানী ও প্রিয়াঙ্কা। ভয় পেয়ে যায় তারা। তিন দিন বাদে রাস্তার ধারে শিশুটিকে ফেলে দিয়ে যায় অভিযুক্তরা। ঘটনাস্থল থেকে একটি চিরকুট পাওয়া যায়। চিরকুটে লেখা ছিল, ‘ ১০ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ এই শিশুটি। দেখামাত্রই যেন পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

’ হাসপাতালে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে প্রিয়াঙ্কা ও শিবানীকে শনাক্ত করে পুলিশ। সোমবার উত্তরপ্রদেশের মথুরায় গ্রামের বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। রাজস্থানের ভরতপুরের পুলিশ সুপার অনিল কুমার তঙ্ক জানিয়েছেন, সিসিটিভি ফুটেজে একটি স্কুটি চেপে সদ্যোজাতটিকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে চলে যেতে দেখা গিয়েছে প্রিয়াঙ্কা ও শিবানীকে। জেরায় ওই দুই যুবতী জানিয়েছে, বছর দুয়েক আগে তাদের একমাত্র ভাই মারা গিয়েছে। পুত্রসন্তানের আশায় ফের বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাবা। তাই মায়ের মুখে হাসি ফোটাতেই সদ্যোজাতটি চুরি করেছে তারা। প্রিয়াঙ্কা ও শিবানীর বিরুদ্ধে অপহরণ-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রিয়াঙ্কা ও শিবানী দুজনেই বিবাহিত। ঘটনার আগে ভরতপুরে রীতিমতো রেইকিও করে গিয়েছিল তারা। গত ১০ জানুয়ারি ভোরে ভরতপুরের পাহাড়ি গ্রামের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন বছর তিরিশের এক মহিলা। পরে ওই মা ও সদ্যোজাতকে স্থানান্তরিত করা হয় সরকারি হাসপাতালে। দুপুরে আড়াইটে নাগাদ সরকারি হাসপাতাল থেকে সদ্যোজাত পুত্র সন্তানটিকে চুরি করে প্রিয়াঙ্কা ও শিবানী। ঘটনার সময়ে ঘুমোচ্ছিলেন শিশুটির মা। সেই সুযোগটিকেই কাজ লাগায় অভিযুক্তরা।

ad

পাঠকের মতামত