পরিস্থিতি শান্ত করতে আমি ঘটনা স্থলে গিয়েছিলাম : শামীম ওসমান (ভিডিও)
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেন, রাজনীতিটা যেহেতু মানুষের জন্য করি তাই আমাকে তাদের জন্য কথা বলতে হয়। আমি আমাদের পার্টির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ফোনে ওখানে গিয়েছি পরিস্থিতি শান্ত করতে। আমি হকারদের বুঝিয়ে শান্ত করে ফিরে আসি।
মিথিলা ফারজানা’র সঞ্চালনায় একাত্তর টেলিভিশনের নিয়মিত অনুষ্ঠান একাত্তর জার্নালে তিনি একথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেন, রাজনীতিটা যেহেতু মানুষের জন্য করি তাই আমাকে তাদের জন্য কথা বলতে হয়। প্রায় ৫’হাজার হকাররা পচিঁশ দিন ধরে রাস্তায় অনশন, মিছিল করছে। তাদের উচ্ছেদ করা হলে প্রথম দিনই আমার কাছে তারা এসে ছিলো। আমি তাদের মেয়রের কাছে যেতে বলি। মেয়র তাদের এই বিষয়টি দেখবে। হকাররা অনেকবার গেছে মেয়রের কাছে তাতে কোন রেজাল্ট পাইনি। তখন বামমোর্চা এই হকারদের অন্দোলনকে নেতৃত্ব দিয়ে তাদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। সেসময় আমি আশা করেছিলাম যেহেতু বাম নেতাদের সাথে আইভি’র সর্ম্পক ভালো। তাহলে হয়ত মানবিক দিক বিবেচনা করে আইভি কিছুটা সময় বাড়িয়ে দিবেন।
আমার প্রস্তাব ছিলো অনেক আগে থেকে হঠাৎ করে হকার উচ্ছেদের নোটিশ না দিয়ে। তাদের দু’মাসের একটা সময় দেওয়া হোক। যাতে তারা তাদের ব্যবসা অন্যত্র গুছিয়ে নিয়ে যেতে পারে। কিন্তু সেটি না করে হকারদের উচ্ছেদের নোইটশ দেয় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন।
এক প্রশ্নের জবাবে সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মেয়রকে চিঠি দিয়ে বলেছেন আমরা এভাবে হকার উচ্ছেদ না করে। একটা বিকল্প ব্যবস্থা কিভাবে করা যায়। সেটা নিয়ে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সাথে বসে আলোচনা করে সমাধান করতে পারি। মেয়র নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপির চিঠির কোন উত্তর দেননি। পরে সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারী দিয়ে উত্তর দিয়েছে এটা সম্ভব না।
আজকে নারায়ণগঞ্জে যে সংর্ঘষ হয়েছে। সেখানে মেয়র বনাম হকাররা প্রতিপক্ষ হিসেবে জড়িত। মেয়রের সাথে যারা সংর্ঘষে ছিলো তারা দাগী আসামি। আমার ওখানে যাওয়ার কারণ আমি আমাদের পার্টির সাধারণ সম্পাদকের (ওবায়দুল কাদের) ফোন পেয়ে গেছি। তিনি আমাকে সেখানে যেয়ে পরিস্থিতি শান্ত করতে বলেছে। আমি দৌড়ে গিয়েছি মাইক হাতে। আমি হকারদের বলেছিল আইভি ভুল করতে পারে, আমি ভুল করবো না। তাদের শান্ত করে আমি ওখান থেকে ফিরে আসি।