192567

হিন্দু যুবকের প্রতারণা, সন্তানের স্বীকৃতি চান মুসলিম তরুণী

ডেস্ক রিপোর্ট : বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার গিলাতলা গ্রামে এক তরুণী স্বামীর অধিকার ও কন্যাসন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে হিন্দু স্বামীর বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন। এ ঘটনায় ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, ওই গ্রামের বিমল কৃষ্ণ পালের পুত্র রাখাল চন্দ্র পালের (৩১) সাথে ঢাকার মিরপুরের রিও ফ্যাশন ওয়্যার লিমিটেডে কাজ করার সুবাদে পরিচয় হয় ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা গ্রামের এনায়ত উল্লাহর মেয়ে তহমিনা আক্তারের (২৭)।

ভুক্তভোগী তহমিনা আক্তার জানান, পরিচিত যুবক নিজেকে রিপন খান নাম পরিচয় দিয়ে সখ্যতা গড়ে তোলে। একপর্যায়ে কৌশলে তাকে ২০১৪ সালের ১০ মার্চ নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করে। পরে তাদের কোলে জান্নাতুল ফেরদাউস তারিনা (১) নামে একটি কন্যাসন্তান জন্ম নেয়। স্বামী রাখাল পাল ওরফে রিপন খান বিভিন্ন অজুহাতে তার কাছে গচ্ছিত থাকা প্রায় ৫/৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর রাখাল পাল গ্রামের বাড়িতে আসার কথা বলে স্ত্রী-সন্তান রেখে নিরুদ্দেশ হয়।

এ ঘটনায় তার স্ত্রী ঢাকার পল্লবী থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। বহু খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে গৃহবধূ তহমিনা রামপালের ওই ঠিকানায় এসে স্থানীয় লোকজনের কাছে তাদের বিয়ের একটি ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে ঠিকানা জানতে চান। স্থানীয়রা ওই ছবি দেখে রিপন খাঁন নয় রাখাল চন্দ্র বলে চিহ্নিত করেন। ঘটনার আকস্মিকতায় ওই গহবধূ সন্তানকে নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

পরে রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ মো: আবু সাইদ বিষয়টি সুরাহা করার জন্য রাখাল চন্দ্র পালের পরিবারের সাথে কথা বলেন।

রাখাল পালের মাতা গীতা রানী পাল জানান, আমার ছেলে আগে কোনো বিবাহ করেনি, কয়েক দিন আগে আমরা তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহ দিয়েছি। রাখাল বর্তমানে কোথায় আছে আমরা জানি না। তিনি তহমিনা ও তার কোলের শিশুকন্যার স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেন। ওই গৃহবধূ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি স্বামীর সংসার ও সন্তানের পিতৃপরিচয়ের স্বীকৃতি পেতে চাই। আমার সাথে প্রতারণা করে আমার গচ্ছিত টাকা ও স্বর্ণালংকার আত্মসাৎ করেছে এবং হিন্দু নাম-পরিচয় গোপন রেখে মুসলমান পরিচয়ে বিবাহ করেছে। এজন্য বিচার চেয়ে প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

এ ব্যাপার উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ মো: আবু সাইদ দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, রাখাল পাল তার জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি করে রিপন খাঁন নাম ধারণ করে একজন মুসলিম মেয়েকে প্রতারণার মাধ্যম বিবাহ করেছে। যা গুরুতর অন্যায় এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার শামিল এবং এর সঠিক বিচার হওয়া উচিত। উৎসঃ পরিবর্তন

ad

পাঠকের মতামত