192609

চালু হলো অ্যাপস চালিত সিএনজি অটোরিকশা

প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের পর এবার অ্যাপসে চলবে সিএনজি অটোরিকশা। রাজধানীতে অ্যাপভিত্তিক অটোরিকশা সেবা ‘হ্যালো’ পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো। এক মাস পরীক্ষামূলক চলবে, এই এক মাসের অভিজ্ঞতাগুলো কাজে লাগিয়ে আগামী ১ মার্চ থেকে ‘হ্যালো’ রাইড শেয়ারিং সার্ভিস আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করবে।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানালেন টপ আই আই এর মুখপাত্র রোকেয়া প্রাচী।

তিনি জানান, ‘হ্যালো’ অ্যাপটি বাংলাদেশের প্রথম অনুমোদিত রাইড শেয়ারিং অ্যাপ। অ্যাপসটি প্লে স্টোরে উন্মুক্ত করা হয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপল স্টোর থেকে ‘হ্যালো’ অ্যাপটি ডাউনলোড করতে পারবেন। এছাড়া যাত্রী ও চালক এই অ্যাপ ব্যবহার করে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।

রোকেয়া প্রাচী বলেন, এ অ্যাপসের আওতায় থাকলে রাস্তায় বের হয়ে সিএনজি খুঁজতে হবে না। অ্যাপসে রিকোয়েস্ট দিলেই সিএনজি অটোরিকশাসহ চালক হাজির হবেন। রাজধানীতে চলা সিএনজির যে হয়রানি তার সমাধান হবে। সরকারি নীতিমালার ভিত্তিতেই এই অ্যাপ চলবে।

সোমবার ‘রাইড শেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালা-২০১৭’ অনুমোদনের পর আজ থেকে এই সার্ভিসটি চালু হলো। এরই মধ্যে তারা ৫০০ সিএনজি চালককে শুদ্ধাচার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রোকেয়া প্রাচী।
রাজধানীবাসীরা সরকার নির্ধারিত হার অনুসারে সিএনজি-অটোরিকশা ব্যবহার করতে পারবেন। প্রথম দুই কিলোমিটার ৪০ এবং পরের প্রতি কিলোমিটার ১২ টাকা করে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া প্রতি মিনিটের ওয়েটিং চার্জ ২ টাকা ধরা হয়েছে বলে জানান ‘হ্যালো’র বিপণন বিভাগের পরিচালক রাকিবুল হাসান।

তিনি আরো জানান, অ্যাপস ব্যবহারের জন্য শতকরা ১৫ টাকা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে। মঙ্গলবার থেকে গুগল অ্যাপস স্টোরে ‘হ্যালো’ অ্যাপটি পাওয়া যাবে।

ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব সাখাওয়াৎ দুলাল বলেন, প্রাথমিকভাবে পাঁচ শতাধিক চালককে আমরা প্রশিক্ষণ দিয়েছি। যারা এ সেবায় আসতে চাইবেন তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। অ্যাপস ব্যবহারে অটোরিকশা চালকদের আয় বাড়বে এবং যাত্রীরাও উন্নত সেবা পাবেন।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী আরটিভি অনলাইনকে বলেন, বর্তমানে সিএনজি অটোরিকশার দেয়া ভাড়ার তালিকা যাত্রীদের সামর্থ্যের বাহিরে চলে গেছে। তার পরেও যদি বেশি ভাড়া দিয়ে সাধারণ মানুষ বেশি সুবিধা ভোগ করতে পারে তাহলে ভাল।

কিন্তু অ্যাপস ব্যবহারে যদি যাত্রীরা বেশি হয়রানির শিকার হয় তাহলে অ্যাপস ব্যবহারের মাত্রা কমে আসবে। উবার ও পাঠাও কম টাকায় উন্নত সুবিধা দেয়ায় মানুষ এ সেবা লুফে নিয়েছে। সিএনজি অটোরিকশা যদি নীতিমালা মেনে চলে তাহলে ফের গ্রাহকের জনপ্রিয়তা পাবে। তবে এ বিষয়ে প্রশাসনের নজরদারি সবসময় রাখতে হবে যাতে অ্যাপস ব্যবহার করে মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়।

ad

পাঠকের মতামত