192558

এবার ঘুমের মধ্যেই কমবে ওজন! কিন্তু কিভাবে

অনেকেই মনে করেন ঘুমানো মানে সময় নষ্ট। সেই সময়টা কাজ করলে জীবনে অনেক উন্নতি করা সম্ভব। এমন ভাবনা শুধু ভয়ঙ্করই নয় শরীরের পক্ষে ক্ষতিকরও বটে। কারণ ঘুমের পরিমাণ আপনার হরমোনের ওপর প্রভাব ফেলে। আবার রাতে ঘুম কম হলে বা ঘুম না হলে খাওয়ার প্রবণতাও বৃদ্ধি পায়। আর এই অতিরিক্ত ক্যালোরি শরীরের মেদ বাড়াতে সাহায্য করে।

ঘুম ও খাওয়া দুটোই যখন স্বাভাবিক থাকে তখন শরীরে কর্মক্ষমতাও অনেক বেশি থাকে। তাহলে জেনে নিন শরীরের ওজন কমাতে ঘুম কতটা সহায়ক।

অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায় : অনেক সময় অনিদ্রা বা বিষণ্নতার কারণে মাঝরাতে বেশি খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। তবে রাতে পর্যপ্ত পরিমাণে ঘুমের মাধ্যমে এ প্রবণতা কমানো সম্ভব। আর এর ফলে শরীরের ওজনও নিয়ন্ত্রেণে থাকে।

মেদ কমাতে সাহায্য করে : ওজন কমাতে শুধু খাবারের পরিমাণ কমালেই হবে না সেই সঙ্গে চাই পর্যপ্ত পরিমাণে ঘুম। কারণ আপনার শরীর যখন ক্ষুধার্ত থাকবে তখন সব ধরনের খাবারের বেশির ভাগ অংশই মেদে পরিণত হয়ে জমতে থাকে।এই অবস্থা তখনই হবে যখন আপনি কম খাবেন এবং কম ঘুমাবেন।

ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে : পর্যপ্ত পরিমাণে ঘুম ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।আপনার যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম হয় তাহলে আপনার ক্ষুধাও থাকবে স্বাভাবিক।রাতে নিয়মিত ৮ ঘণ্টার ঘুম খুবই আবশ্যক।

ঘুম ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক : এক গবেষণায় দেখা গেছে রোজ এক সময় ঘুমালে এবং উঠলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।আবার ৬ ঘণ্টার কম বা ৮ ঘণ্টার বেশি ঘুমালে দু’টোই শরীরের ওজনের ওপর প্রভাব ফেলে।

হজমে সাহায্য করে : ঘুম শরীরের হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া ঘুম শরীর সুস্থ্য রাখতে ও ক্যালোরি পোড়াতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

ad

পাঠকের মতামত