192515

আসছে ফোরজি, পাবেন যেসব সুবিধা

মার্চের মধ্যেই জনগণের কাছে ফোরজি সেবা পৌঁছে দেয়া যাবে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসি।

বিটিআরসি জানিয়েছে, অপারেটরগুলো ফোরজি সেবা দেয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েই আছে। সে হিসেবে এটি চালু করতে সময় লাগবে না।

ফোরজি লাইসেন্সের জন্য সিটিসেল, গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি এবং টেলিটক আবেদন করেছে। ফোরজিকে দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে বিটিআরসি ইত‌্যেমধ্য ফোন অপারেটরগুলোকে একটি সময়সীমা বেধে দিয়েছে। তা হলো, যেদিন ৪জি লাইসেন্স প্রদান করা হবে

সেদিন থেকে ৯ মাসের মধ্যে সকল বিভাগীয় শহরে সেবা প্রদান করতে হবে। ১৮ মাসের মধ্যে ৩০% জেলা শহরে সেবা প্রদান করতে হবে এবং ৩৬ মাসের মধ্যে সকল জেলা শহরে সেবা প্রদান করতে হবে।

এখন আসা যাক আসল কাথায়। আমার ফোরজি ফোরজি করে এত আলোচনা করছি। আসলে ফোরজিটা কি? এইটা দেশে আসলে আমাদের উপকার কি? কি কি সুযোগ-সুবিধা পাবে দেশ এইটা কি আমরা জানি!

ফোরজি কি?

‘ফোরজি’ ফোর্থ জেনারেশন’ বা ‘চতুর্থ প্রজন্ম’ হলো দ্রুততম সময়ে যোগাযোগে ব্যবহৃত মোবাইল টেলিযোগাযোগ-প্রযুক্তি, যাকে আবার ‘লং টার্ম ইভল্যুশন’ বা ‘এলটিই’ও বলা হয়ে থাকে। এই প্রযুক্তি বর্তমানে বাংলাদেশে চালু থাকা তৃতীয় প্রজন্ম বা থ্রিজির পরের ধাপ।

‘ফোরজি’র আসলে কোনো আনুষ্ঠানিক সংজ্ঞা নেই। কিছু বৈশিষ্ট্য দিয়ে ‘ফোরজি’ বোঝা যায়। ‘আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন-রেডিও যোগাযোগ’ শাখার ‘ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল টেলিকমিউনিকেশন অ্যাডভান্সড’ (আইএমটিএ) ফোরজির জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড দাঁড় করিয়েছে। সেখানে ‘ফোরজি’ হতে হলে বেশ কয়েকটি যোগ্যতা উতরাতে হয়। আইএমটিএর ওই ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, এই নেটওয়ার্কে ইন্টারনেটের গতি খুবই দ্রুতগতির হবে। কোনো দ্রুতগতির যানবাহন অর্থাৎ বাস বা ট্রেনে এই সেবার ইন্টারনেট গতি হবে প্রতি সেকেন্ডে ১০০ মেগাবাইট। এ ছাড়া আবাসিক ব্যবহারে বা স্থিরাবস্থায় ‘ফোরজি’ নেটওয়ার্কের গতি হবে প্রতি সেকেন্ডে এক গিগাবাইট।

ফোরজিতে কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে?

ফোরজির মূল সুবিধা এই নেটওয়ার্কে সর্বোচ্চ গতিতে তথ্য আদান-প্রদান করা সম্ভব। বলাই হচ্ছে, এর গতি হবে সর্বনিম্ন ১০০ মেগাবাইট। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে হাই ডেফিনিশন টেলিভিশন ও ভিডিও কনফারেন্সের সুবিধা পাওয়া সম্ভব। এ ছাড়া এই প্রযুক্তিতে গ্রাহক সব সময়ই মোবাইল অনলাইন ব্রডব্যান্ডের আওতায় থাকতে পারবে। ফোরজির মাধ্যমে মোবাইলে কথোপকথন ও তথ্য আদান-প্রদানের নিরাপত্তা অনেক বেশি ও শক্তিশালী।

এ ছাড়া ফোরজি মোবাইল গ্রাহকদের ভয়েস মেসেজ, মাল্টিমিডিয়া মেসেজ, ফ্যাক্স, অডিও-ভিডিও রেকর্ডিংসহ নানা ধরনের সুবিধা দেয়। এ ছাড়া এর ডাউনলিংকের ক্ষেত্রে লিংক স্পেকট্রাল এফিসিয়েন্সি প্রতি সেকেন্ডে ১৫ বিট এবং আপলিংকের ক্ষেত্রে ৬ দশমিক ৭৫ বিট হবে।

ধারণা করে হচ্ছে, ফোরজি আসলে আমাদের জীবনধারায় অনেক পরিবর্তন আসবে। কিন্ত দেশের মানুষের ফোরজি নিয়ে এখনো সংশয় কারণটা হলো দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাজে এখনো থ্রিজি ঠিক ভাবে পৌঁছেনি। যেখানে থ্রিজি পৌঁছেনি সেখানে ফোরজি কি আসবে? তবে সময়ই বলে দিলে ফোরজি দেশের মানুষের জন্য কতটুকু আর্শিবাদ বয়ে আনবে।

ad

পাঠকের মতামত