192361

যে কারণে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার হচ্ছে পেঁয়াজের ফুলকা!

বিজিবির উদ্ধার করা পেঁয়াজের ফুলকাদিনাজপুরের হিলি সীমান্ত এলাকা দিয়ে নিয়মিত ভারতে পাচার হচ্ছে দেশীয় পেঁয়াজের ফুলকা (কলি)। ফলে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। জানা যায়, ভারতের বাজারে চাহিদা ও দাম বেশি হওয়ায় এবং বৈধপথে ভারতে রফতানির কোনও ব্যবস্থা না থাকায় ফুলকা পাচার হচ্ছে।

মাঝে মধ্যে কিছু চালান ধরা পড়লেও বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে অনায়াসে পাচার হয়ে যাচ্ছে পেঁয়াজের ফুলকা। তবে ফুলকা রফতানিতে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, সেগুলো দূর করা হলে সরকারের রাজস্ব

আহরণের পরিধি আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

হিলির পেঁয়াজের ফুলকা পাচার হয় ভারতেবিজিবি হিলির মোংলা বিওপি ক্যাম্প কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে হিলি সীমান্ত এলাকায় জড়ো করার সময় অভিযান চালিয়ে গত ৩১ ডিসেম্বর ১৫টি বস্তা থেকে ৭৫০ কেজি পেঁয়াজের ফুলকা উদ্ধার করা হয়। এরপর ৬ জানুয়ারি ২৩টি বস্তা থেকে ৯০০ কেজি, ১৪ জানুয়ারি ২৫টি বস্তা থেকে এক হাজার ৩২০ কেজি পেঁয়াজের ফুলকা উদ্ধার করা হয়। ওই ৩ অভিযানে ৬৩টি বস্তা থেকে দুই হাজার ৯৭০ কেজি পেঁয়াজের ফুলকা উদ্ধার করা হয়।

হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পেঁয়াজের ফুলকা খুচরা ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর পাইকারিতে দর উঠছে কেজিতে ৮/১০ টাকা। তবে কিছুদিন আগেও এসব ফুলকা ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। এখন সরবরাহ বাড়ার কারণে দাম কমতে শুরু করেছে।

হিলি বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মমতাজ হোসেন বলেন, ‘ভারতের হিলিসহ পুরো পশ্চিমবঙ্গে আমাদের দেশীয় পেঁয়াজের ফুলকার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তারা এসব ফুলকা বিভিন্ন তরকারি ছাড়াও আলাদাভাবে ভাজি করে খায়। যা তাদের কাছে অত্যন্ত প্রিয়। এছাড়াও তারা যে পেঁয়াজ আবাদ করে সেগুলোয় এমন ফুলকা হয় না। শুধুমাত্র আমাদের দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের ফুলকাই এমন হয়। ’ তিনি জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে যেসব ট্রাক ভারত থেকে পণ্য নিয়ে আসে, সেসব ট্রাকের ড্রাইভাররাও এ দেশের বাজার থেকে ফুলকা কিনে নিয়ে যান।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি মো. হারুন উর রশীদ হারুন ও আমদানিকারক আনোয়ার হোসেন বিনা জানান, বাংলাদেশের পেঁয়াজের ফুলকার ভারতে বেশ চাহিদা রয়েছে। ভারতের বাজারে এর দামও বেশ ভালো। দেশের বাজারে ১৫ থেকে ২০ টাকা দাম হলেও ভারতের বাজারে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে এসব ফুলকা বিক্রি হয়। তারা বলেন, পেঁয়াজের ফুলকা ভারতে রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। কিন্তু বাংলাদেশের মতো ভারতে উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র না থাকায় এসব পণ্য যথাযথভাবে রফতানি করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। এ কারণে এটি অবৈধপথে পাচার হয়ে যাচ্ছে।

ad

পাঠকের মতামত