192385

একের পর এক ছবি গুটিয়ে নেওয়া হচ্ছে…

বিনোদন ডেস্ক : যৌথ প্রযোজনা থেকে একের পর এক ছবি গুটিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ইয়েতি অভিযান ও ইন্সপেক্টর নটি কে ছবি দুটির পর এবার ঢাকার ছবির নায়ক শাকিব খান ও কলকাতার মেয়ে শুভশ্রী অভিনীত চালবাজ ছবিটিও যৌথ প্রযোজনায় হবে কি না, তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে অনিশ্চয়তা। এমনটিই জানিয়েছেন ছবিটির ভারতের অংশের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসকে মুভিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অশোক ধানুকা। বাংলাদেশ অংশে ছবিটির সঙ্গে আছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্ট।

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের লোকেশনে চালবাজ ছবির শুটিং প্রায় ৭০ ভাগ শেষ। বাকি কাজ বাংলাদেশে করার কথা। কিন্তু বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের নতুন নীতিমালায় কাজটি দ্রুত সময়ে করা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে দ্বিধার মধ্যে আছে ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানদ্বয়।

অশোক ধানুকা বলেন, ‘ছবির বাংলাদেশ অংশের কাজ করতে ঝামেলা মনে হচ্ছে। নতুন নীতিমালা যেভাবে করা হয়েছে, তাতে কাজ শেষ করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। বাংলাদেশের অংশের কাজের অপেক্ষায় তো ছবি ফেলে রাখব না।’

এরই মধ্যে ছবিটির শুটিংয়ের অংশের সম্পাদনা ও ডাবিংয়ের কাজ শেষ। বাংলাদেশের অংশের শুটিং শেষ করে আগামী মাসেই মুক্তি পাওয়ার কথা ছবিটির। কিন্তু নতুন নীতিমালায় দাপ্তরিক কাজ সেরে বাংলাদেশে শুটিং শুরু করতে এখন থেকে আরও অন্তত দুই মাস লেগে যাবে বলে মনে করছেন এই প্রযোজক।

অশোক ধানুকা বলেন, ‘এখন কী করব, বুঝতে পারছি না। তবে শেষ পর্যন্ত যদি বাংলাদেশ অংশের শুটিং করা না যায়, তাহলে ছবিটি যৌথ প্রযোজনায় রাখা হবে না। এসকে মুভিজের একক ছবি হবে এটি। বাকি কাজ ভারতেই শেষ করা হবে। আমদানি নীতিমালায় চালবাজ বাংলাদেশে মুক্তি দেব।’

কিন্তু আমদানির মাধ্যমে বাংলাদেশে ছবিটির ব্যবসা আদৌ হবে কি? জানতে চাইলে অশোক ধানুকা বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশে একসঙ্গে মুক্তি দিতে পারলে সমস্যা হবে না। যদি আমদানি জটিলতার কারণে একসঙ্গে মুক্তি দেওয়া না যায়, তাহলে সমস্যা হতেই পারে। কেননা কলকাতায় মুক্তির পর কোনোভাবে পাইরেসি হয়ে গেলে বাংলাদেশে ছবিটি সেভাবে চলবে না।’

এর আগে ভেঙ্কটেশের সঙ্গে ইয়েতি অভিযান ও জিৎ’স ফিল্ম ওয়ার্কসের সঙ্গে ইন্সপেক্টর নটি কে ছবিটির নির্মাণের শেষ পর্যায়ে এলে ছবি দুটি থেকে বিনিয়োগ সরিয়ে নেয় বাংলাদেশের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া।

এভাবে একের পর এক যৌথ প্রযোজনার ছবি থেকে প্রযোজকদের সরে দাঁড়ানো প্রসঙ্গে জাজ মাল্টিমিডিয়ার চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ বলেন, ‘নতুন নীতিমালায় কারও পক্ষেই যৌথ প্রযোজনায় ছবি নির্মাণ সম্ভব হবে না। নীতিমালা প্রকাশের আগেই ছবি দুটিতে বিনিয়োগ করা হয়ে গিয়েছিল। পরে সরে এসেছি। নীতিমালা সংশোধন না করলে আর যৌথ প্রযোজনায় ছবি বানাব না।’

আবদুল আজিজ আরও বলেন, ‘যৌথ প্রযোজনায় দুই দেশ থেকে ভাগাভাগি করে বিনিয়োগ করা হয়। তাই সহজেই বড় বাজেটে ভালো মানের ছবি নির্মাণ করা সম্ভব হয় এবং দুই দেশে একসঙ্গে মুক্তির পর উভয় জায়গা থেকেই ছবির ব্যবসা হয়। কিন্তু সেই সুযোগ আমার মতে সীমিত হয়ে আসছে। এখন সিনেমা হল বাঁচানো মুশকিল হয়ে যাবে।’

সূত্র : প্রথম আলো

ad

পাঠকের মতামত