192345

অল্পের জন্য ভয়ানক এক বিমান দুর্ঘটনা থেকে বাঁচল যাত্রীরা

যাত্রীবোঝাই একটি বিমান রানওয়েতে পিছলে গেল। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন যাত্রীরা। বিমানটি পিছলে প্রায় সমুদ্রের ধারে চলে আসে। আতঙ্কে, মৃত্যুর আশঙ্কায় যাত্রীরা চিৎকার করতে থাকেন। তবে শেষ পর্যন্ত চালকের তৎপরতায় ও খানিকটা যেন ভাগ্যের জোরেই গভীর সমুদ্রে আছড়ে পড়ার আগে মাত্র হাতখানেক দূরে থেমে যায় বিমানটি। সমুদ্রে পড়ে গেলে বিমানের সমস্ত যাত্রীদেরই জীবন্ত সমাধি হতে পারত। বিমানটি তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারা থেকে ট্র্যাবজোন বিমানবন্দরে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।

চমকে ওঠার মতো এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তুরস্কে। উত্তর তুরস্কে যাত্রীবাহী পেগ্যাসাস এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি রানওয়ের কাদায় পিছলে যায় বলে দাবি। বিমানেরই এক যাত্রী ফাতমা গোরদু স্থানীয় সংবাদ সংস্থাকে এদিনের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে ভয়ে শিউরে উঠছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এদিকে হেলে যাই বিপজ্জনকভাবে। বিমানের সামনের দিকটি খাদের ধারে ঝুঁকে পড়ায় পিছনের দিকটি সটান উঠে যায়। পিছনের যাত্রীরা সামনে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। আতঙ্কে সকলেই প্রায় কেঁদে ফেলেছিলাম। ভাবিনি, আজ বেঁচে ফিরব। ’ বিমানে সবমিলিয়ে ১৬২ জন যাত্রী ও ক্রিউ মেম্বার ছিলেন।

এই দুর্ঘটনার ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে পড়ে। কৃষ্ণসাগরের স্বচ্ছ জলে আছড়ে পড়তে গিয়েও শেষ মুহূর্তে রক্ষা পেয়ে যাত্রীরা ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। তবে শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তারক্ষীরা প্রত্যেক যাত্রীকেই অক্ষত অবস্থায় বিমানটির বাইরে বের করে আনতে সক্ষম হন। দুর্ঘটনায় বিমানটির ক্ষয়ক্ষতি হলেও কোনও যাত্রী আহত হননি। দুর্ঘটনার মূল কারণ এখনও জানা যায়নি। স্থানীয় গভর্নর জানিয়েছেন, এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দুর্ঘটনার জন্য তুরস্কের বিমানবন্দরটি বেশ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ থাকে।

ad

পাঠকের মতামত