192395

নীতিমালা অনুমোদন, বৈধতা পেল উবার-পাঠাও

আইনি বৈধতা পেতে যাচ্ছে উবার, পাঠাওসহ অ্যাপস ভিত্তিক পরিবহন সেবা। এত দিন এর মাধ্যমে যাত্রীরা সেবা পেয়ে এলেও এর কোনো আইনি বৈধতা ছিল না। এই সেবাকে আইনি কাঠামোতে নিয়ে আসতে ‘রাইড শেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালা’ মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এটি অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের মাধ্যমে ব্যক্তিগত মোটরযান মালিকের ব্যবহারের পর অতিরিক্ত সময় ভাড়ার বিনিময়ে যাত্রী বহনের সুযোগ পাওয়া যাবে। এই নীতিমালার মাধ্যমে ব্যক্তিগত গাড়ির মালিকেরা নিয়মের মধ্যে থেকে এ ধরণের সেবায় নিয়োজিত হতে পারবেন। এটি হলে রাস্তায় মোটরযানের সংখ্যা কমবে, যানজটও অনেকাংশে কমে আসবে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত মোটরযানের মালিকও বাড়তি আর্থিক সুবিধা পাবেন।

বর্তমানে ঢাকায় চলছে একাধিক স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ) ভিত্তিক পরিবহন সেবা। এর মধ্যে ২০১৬ সালের ২২ নভেম্বর ঢাকা শহরে যাত্রা শুরু করেছিল বিশ্বের অন্যতম বড় অন-ডিমান্ড রাইড শেয়ারিং কোম্পানি উবার। এ ধরনের সেবার আওতায় উবারের নিজস্ব কোনো ট্যাক্সিক্যাব থাকে না। অ্যাপল স্টোর বা গুগল প্লে স্টোর থেকে ‘উবার’ নামের অ্যাপ নামাতে হয়। এরপর ই-মেইল ঠিকানা ও ফোন নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করতে হয় চালক ও যাত্রীকে। তারপরই তারা এর সেবা নিতে পারেন। উবারের পর ‘পাঠাও’ নামে আরেক প্রতিষ্ঠান মোটরসাইকেলে একই ধরনের সেবা চালু করেছে।

তবে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকেরা এ নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন। তবে জনপ্রিয়তার কারণে শেষ পর্যন্ত সরকার নীতিমালা তৈরির উদ্যোগ নেয়। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।

সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ব্যক্তিগত মোটরযান ভাড়ায় চালানোর জন্য দেশে কোনো আইন বা বিধিবিধানও নেই। সেই ক্ষেত্রে মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩–এর ৫৩ ধারার ক্ষমতাবলে পরীক্ষামূলকভাবে রাইড শেয়ারিং সার্ভিস চালুর জন্য এ নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে।

ad

পাঠকের মতামত