191999

‘বাংলাদেশের কোনো ব্র্যান্ড আমি কিনিও না, পরিও না’

কথা হয় অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনার সঙ্গে। ২০১৭ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ভয়ংকর সুন্দর’এ অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় তার। ফ্যাশন সচেতন এই অভিনেত্রীর স্টাইলে সবসময়েই এক ধরনের আভিজাত্যের ছোঁয়া পাওয়া যায়। শুধু ফ্যাশনেই নয়, ব্যক্তিগত জীবনেও তিনি শৌখিন। আজ নিজের ফ্যাশন এবং স্টাইল প্রসঙ্গে প্রিয়.কম-এর সঙ্গে কথা বলেন এই অভিনেত্রী। ব্যক্তিগত সাজগোজ, ফ্যাশন, স্টাইল, ভালো লাগার ব্র্যান্ড এবং গেটআপ সম্পর্কে জানিয়েছেন তিনি।
দেশের কোন শপিং সেন্টার থেকে শপিং করেন আর দেশীয় কোন ব্র্যান্ডের পোশাক পরেন আপনি?

আশনা হাবিব ভাবনা: বাংলাদেশের কোনো ব্র্যান্ড আমি কিনিও না, পরিও না। বাংলাদেশে কি কোনো ব্র্যান্ড আছে নাকি! মিথ্যা কথা বলে লাভ নাই। আসলে নেহাত প্রয়োজন না হলে আমি বাংলাদেশ থেকে শপিং করি না। দুবাই এবং সিঙ্গাপুর থেকেই আমার বেশি শপিং করা হয়। খুব পছন্দ করে কিনতে ভালোবাসি। তাই সব জায়গার জিনিস আমার খুব একটা পছন্দও না। বলতে পারেন আমি খুব ফ্যাশন সচেতনও বটে।

আপনার স্টাইল আইকন কে?

আশনা হাবিব ভাবনা: আমি কাউকে অনুকরণ করি না। তাই আমার স্টাইল আইকনও নেই। আমার ফ্যাশনটা আমার মুডের ওপর নির্ভর করে। আমি আয়নায় দেখলেই বুঝতে পারি, আমকে কী পরলে ভালো লাগছে। তাই কাউকে অনুকরণ করার দরকার পড়ে না। ইদানীং আমার ফার ব্র্যান্ডের জিনিস খুব ভালো লাগছে। সারাদিন শুটিং করে যা উপার্জন করি, সব আমার লাকজারির (বিলাসিতা) জন্য। ভালো খাব, আর ভালো পরব- এটাই আমার চাওয়া।

কি ধরনের জুতা পরতে ভালোবাসেন, আপনার লেটেস্ট জুতা কোন ব্র্যান্ডের?

আশনা হাবিব ভাবনা: আরামের বিষয়টি মাথায় রাখলে কিন্তু আর স্টাইল করা হবে না। পরতে কষ্ট হলেও আমি খুব ফ্যাশনেবল হাই হিল পরি। হাই হিল জুতা আমার খুব পছন্দও। গত মাসে বড় দিনে গুচি’র ফার-এর একটি ল্যাটেস্ট জুতা বের হয়েছে। ঐ জুতাটাই আমি কিছুদিন আগে কিনেছে। একরকমের জুতা বলিউডের কারিনা কাপুরও কিনেছে।

কেমন সাজগোজ পছন্দ?

আশনা হাবিব ভাবনা: আমি মেকআপ করতে একদমই পছন্দ করি না। ন্যাচারাল থাকতেই বেশি ভালো লাগে। বেড়াতে গেলেও মুখে কোনো মেকআপের আঁচড় দিই না। ভালো পোশাক আর স্টাইলই হচ্ছে আমার সাজগোজ।

মেকআপের ক্ষেত্রে পছন্দের ব্র্যান্ড কী?

আশনা হাবিব ভাবনা: মেকআপের বেলায় লিপস্টিক, ফাউন্ডেশন এবং পাউডারটা ম্যাকের পাশাপাশি অন্যান্য ব্র্যান্ড থেকেও কিনি।

আপনাকে সাধারণত ওয়েস্টার্ন পোশাকে বেশি দেখা যায়, সেগুলো কথা থেকে কেনা?

আশনা হাবিব ভাবনা: বাসায় পরার জন্য আমি ঢোলা-ঢোলা টি শার্ট, লুজ প্যান্টগুলো ম্যাঙ্গও, ফরেভার ২১, এইচআন্ডএম-এর মতো ব্র্যান্ডগুলো থেকেও কিনি। আর একটু ফ্যাশনেবল গাউন, টপস এবং অন্যান্য ওয়েস্টার্ন ড্রেসগুলো কেনা হয় গুচি, প্রাডা, হপস, আরমানির মতো ব্র্যান্ড থেকে। আর ড্রেস আমি নিজে পছন্দ করে কিনি। আমার পছন্দে কেনা পোশাক দেখতে খুব একটা খারাপ হয় না।

ওয়েস্টার্ন পোশাক ছাড়া আর কী ধরনের পোশাক ভালো লাগে আপনার আর সেগুলো কেনা হয় কোথা থেকে?

আশনা হাবিব ভাবনা: আমি শাড়ি পরতে খুব পছন্দ করি। সেলোয়ার-কামিজ আমার ভালো লাগে না। সেলোয়ার কামিজ খুব একটা পরিও না। শাড়ি বা লেহেঙ্গা কিনতে সবসময় ইন্ডিয়াতে যাই।

কার ডিজাইন করা শাড়ি এবং লেহেঙ্গা বেশি পরা হয়?

আশনা হাবিব ভাবনা: ইন্ডিয়ায় গেলে আমি অনামিকা খান্না, মনিশ মালহোত্রা ও সব্যসাচীর ডিজাইন করা শাড়ি ও লেহেঙ্গা বেশি কিনি। অনামিকা খান্নার ডিজাইন করা পোশাক আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে।

চুল পরিপাটি রাখতে কি করেন?

আশনা হাবিব ভাবনা: চুল সবসময় ব্লো-ডাই করে রাখি। চুল হাইলাইট করা আমার পছন্দ না।

গয়না পরতে ভালো লাগে আপনার?

আশনা হাবিব ভাবনা: গোল্ড আমার মোটেও পছন্দ না। ডায়মন্ডের জুয়ালারি আমার বেশি পছন্দ। আমি আংটি বেশি পরি। একটু ট্রেন্ডি আংটি দেখলেই আমার কিনতে ইচ্ছে করে। গয়নার ক্ষেত্রে ডায়মন্ডের সঙ্গে প্লাটিনাম সিলভারটাই আমার পছন্দ। ‘টিফানি এন্ড কো’ ব্র্যান্ডের জুয়েলারি আমার বেশি ভালো লাগে।

আপনাকে সবসময় ঘড়ি পরতে দেখা যায়…

আশনা হাবিব ভাবনা: হাতে আমর ঘড়ি না থাকলেই নয়। আমার কাছে এখন আট থেকে নয় ধরনের ঘড়ি আছে। এর মধ্যে ওমেগা, আরমানি এবং ফিওগেট ব্র্যান্ডের হাতঘড়ি আছে।

কি ধরনের পারফিউম ভালো লাগে?

আশনা হাবিব ভাবনা: বেশ কড়া পারফিউমই আমার পছন্দ। লাইট পারফিউম আমার কেন যেন- ভালোই লাগে না। উৎস: প্রিয়.কম।

ad

পাঠকের মতামত