191921

বাংলা সাহিত্য সম্মেলন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

শনিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক বাংলা সাহিত্য সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। ‘বিশ্বমানব হবি যদি কায়মনে বাঙালি হ’ শীর্ষক স্লোগানে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বসছে তিন দিনব্যাপী এ সাহিত্য সম্মেলন।

বাংলা একাডেমিতে তিনদিনের আন্তর্জাতিক বাংলা সাহিত্য সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের তিন শতাধিক সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবি। এছাড়া থাকছে সঙ্গীত পরিবেশন, মঞ্চনাটক ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। বাংলা সাহিত্যকে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দেয়ার চূড়ান্ত লক্ষ্যে এ আয়োজনের প্রধান সমন্বয়কারী নাসির উদ্দিন ইউসুফ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, বাংলা সাহিত্য সম্মেলনটি ধারাবাহিকভাবে আয়োজন করতে পারলে, বিদেশিদের মধ্যে বাংলা সাহিত্যের আগ্রহটা বাড়বে।

এ সম্মেলনের মাধ্যমে কী তুলে ধরা হচ্ছে ?

জবাবে নাসির উদ্দিন বলেন, যে উদ্দেশ্য করা সেটা হলো সাহিত্য সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে আমরা বিশ্বাস করি বিশ্ব মানবতার জয়গান আমরা গাইব। আমরা বলছি, ’বিশ্ব মানব হবি যদি কায়মনে বাঙালি হ’। আমরা বাঙালি হবো, কিন্তু একই সাথে বিশ্ব মানবও হবো। বাঙালি আজ থেকে ৬’শ থেকে ৭’শ বছর আগে উচ্চারণ করেছে ‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে কেহ নাই’।

এ আয়োজনে কারা কারা অংশগ্রহণ করছে এবং কে থাকছে ?

জবাবে নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা আসাম, ত্রিপুরা, কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের অর্থাৎ ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের বাংলা সাহিত্য নিয়ে যারা কাজ করেন, তাদেরকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। জাপান থেকে ওয়াটানালের অনুবাদক, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সমরেশ মজুমদার, সুবোস সরকার, বীথি চট্টোপাধ্যায়, চলচ্চিত্রকার গৌতম গোষ, ভারতের বিদায়ী রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছি। প্রণব মুখার্জি এ সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি থাকবেন। এ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সুতরাং মোটামুটিভাবে এটা বড় আয়োজন বলে মনে করতে পারেন। ২২৫ জন প্রতিনিধি বিদেশ থেকে আসবেন। দেশের সহ¯্রাধিক শিল্পী-সাহিত্য থাকবেন।

বাংলাদেশে আরো সাহিত্য সম্মেলন হয়ে থাকে। এর সঙ্গে এ আয়োজনের বিশেষ কোন পার্থক্য আছে ?

জবাবে ইউসুফ উদ্দিন বলেন, আকারের জায়গায় এটা একটু বড় পরিসরে। তবে লিস্ট ফেস্ট বেশ ভালো করে। কিন্তু লিস্ট ফেস্টে শুধুমাত্র বাংলা সাহিত্যকে নিয়ে আলোচনা করে। সেখানে অবশ্যই আমরা বিদেশি সাহিত্যর প্রভাব লক্ষ্য করব, সেটা অনুবাদ সাহিত্যের মধ্য দিয়ে। আমরাও উৎসাহিত হতে চাই এবং সবাইকেও উৎসাহ দিতে চাই। রাশিয়া বা জার্মান বা রাশিয়ান একাডেমি লিটারেচার থেকে যত বাংলা অনুবাদ হবে, তত ভালো হবে। তেমনি করে বাংলাদেশে এসে যদি তাদের সাহিত্যরও অনুবাদ হয়, এতে তাদের বড় প্রাপ্তি হয়। সুতরাং আমরা মনে করি সেদিক থেকে এটা বড়। ১৯৭৪ সালের পর এই প্রথম আমরা আবার করছি।

বাংলাদেশের সাহিত্যকে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে কতটা ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে ?

জবাবে ইউসুফ উদ্দিন বলেন, বাংলা সাহিত্যকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়াটা আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য। সেটা এ মুহূর্তে বড় আকারে সম্ভব না। এ সম্মেলনটাতে আমরা অনেক মানুষকে আমন্ত্রণ করেছি। তারা অনেকে আমাদের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে এবং তারা আসছেন। ধারাবাহিকভাবে যদি এ সম্মেলনটা করা যায়, তাহলে বিদেশিরা বাংলা সাহিত্য নিয়ে তাদের মধ্যে আগ্রহ বাড়বে। সেজন্য এটা শুভযাত্রা হতে পারে।

ad

পাঠকের মতামত