191606

কেন এই মারাত্মক ঝুঁকি?

ডেস্ক রিপোর্ট : ঢাকার রাস্তায় সাঁই সাঁই গতিতে ছুটছে বাস। কোন গাড়ি কখন কোন গাড়িকে পাশ কাটাতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে যায়, এ আতঙ্কে থাকেন যাত্রীদের সবাই। এমনকি নিত্যই গাড়িতে গাড়িতে এ ধরনের সংঘর্ষে জানালা বা লুকিং গ্লাস ভাঙার ঘটনা ঘটে রাজধানীর সড়কে।

এই ঝুঁকি বিবেচনায় প্রায় সব গাড়িতেই লেখা থাকে ‘হাত ও মাথা ভেতরে রাখুন’ বা এ জাতীয় লেখা কোনো নির্দেশনা। অথচ সব ঝুঁকিকে পাত্তা না দিয়ে গাড়ির দরোজা লাগোয়া ভাঙা জানালার অংশকে সিট বানিয়ে তাতে বসে গন্তব্যে যেতে দেখা গেলো মধ্যবয়সী এক নারীকে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে বনশ্রী রুটে চলাচলকারী তরঙ্গ প্লাসের ওই বাস কাকরাইল মসজিদের সামনের রাস্তায় ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়ালে এই দৃশ্য দেখে অনেক পথচারীর চোখ কপালে উঠে যায়। শরীরের একভাগ ভেতরে, আরেকভাগ বাইরে। খবর বাংলানিউজ’র।

বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকের এই দৃশ্য দেখে অনেক পথচারীই বলতে থাকেন, ‘নিজের বিপদ নিজে ডাকা আর কি!’ কেউ একজন বলে ওঠেন, ‘গাড়ির লোকজন কিছুই বলছে না কেন? আর পুলিশইবা কী করছে? ঢাকার রাস্তার যা অবস্থা, যে কোনো সময়ই বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে।’
সিগন্যালে থামা অবস্থায় বাসটির কাছে গিয়ে দেখা যায়, সিট ভর্তি হয়ে ভেতরে দাঁড়ানো যাত্রীর কারণে তিল ধারণের ঠাঁই নেই গাড়িতে। সে কারণে এই ঝুঁকি নিয়েই গন্তব্যে রওয়ানা হয়েছেন ওই নারী।

বাসের হেলপারের কাছে ওই নারীকে ভাঙা জানালায় বসতে দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভেতরে সিট খালি নেই। ওনাকে নিষেধও করা হয়েছে, তিনি শুনছেন না।’

দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওই নারীই না শোনার ভান করে মুখ ঘুরিয়ে নেন। পাশের এক পথচারী প্রশ্ন করেন, ‘কীসের এতো তাড়ায় এমন মারাত্মক ঝুঁকি?’

ad

পাঠকের মতামত