191544

মোস্তাফা জব্বার কেন বাংলা বর্ণে ফেসবুক আইডি চান?

ফেসবুকে বন্ধু তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের নিজ নিজ ফেসবুক আইডির বাংলা বর্ণে লেখার আহ্বান জানিয়েছেন নবনিযুক্ত ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

কিন্তু কেন?

ফেসবুকে বাংলায় নাম লিখতে বলার পরদিন বৃহস্পতিবার একটি জাতীয় অনলাইনের কাছে এই আহ্বান নিয়ে নিজের মতামত তুলে ধরেছেন মন্ত্রী। তার মূল কথা: বিশ্বে বাংলাদেশিদের স্বকীয়তা এবং মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ প্রকাশের জন্যই তার ওই আহ্বান।

‘বিজয়’ বাংলা কিবোর্ডের উদ্ভাবক এবং প্রযুক্তিখাতে সরকারের আস্থাভাজন হিসেবে মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া মোস্তাফা জব্বার বলেন: বাংলাদেশের সংবিধানের ৩ নম্বর ধারায় স্পষ্ট লেখা হয়েছে প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা। বাংলাদেশ ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্র। শহীদের রক্তের অর্জিত বাংলা ভাষা। মা-মাতৃভাষাকে সবচেয়ে বেশি শ্রদ্ধা করি। পরিচিতদের মধ্যে ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা এবং একই সঙ্গে বিশ্বে নিজেদের স্বকীয় পরিচিতির জন্যও চাই ফেসবুকে আইডিগুলো যেনো বাংলা বর্ণে লেখা হয়।

কিন্তু বাংলা বর্ণে আইডি চালালে ফেসবুকে থাকা বিদেশি বন্ধুরা সমস্যায় পড়বে না?

চ্যানেল আই অনলাইনের এই প্রশ্নের জবাবে মোস্তাফা জব্বার বলেন: এই প্রশ্নের উত্তর আমার নিজের ফেসবুক আইডিতেই দেয়া আছে।

এমন জবাবে মন্ত্রীর ফেসবুক আইডিতে গিয়ে দেখা যায় সেখানে বাংলা বর্ণে লেখা আছে ‘মোস্তাফা জব্বার’ এবং বাংলা নামের নিচেই প্রথম বন্ধনীর ভেতরে ইংরেজি বর্ণে লেখা আছে Mustafa Jabbar.

চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বলেন: ইংরেজি আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ভাষা। ফেসবুকের মতো আন্তর্জাতিক যোগাযোগের সামাজিক মাধ্যমে কেবল বাংলা বর্ণে নাম লেখার কথা আমি বলিনি। আইডি বাংলায় লেখার পাশাপাশি ইংরেজিতে লেখার সুযোগ তো সেখানে আছেই।

তথ্যযোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী মনে করেন, ফেসবুকে সবার নাম যদি বাংলায় হয় তাহলে সমগ্র বিশ্বে বাংলাদেশিদের একটি নিজস্ব পরিচিতি তৈরি হবে।

এসব ভাবনা থেকেই বুধবার মন্ত্রী নিজের ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘আমার ফেসবুকের বন্ধুদের যাদের নাম বাংলা নয় তারা অনুগ্রহ করে সেটি বাংলা করুন।’

ফেসবুকে বাংলা আইডি’র জন্য অনুরোধের আগে মোস্তাফা জব্বার তার মন্ত্রণালয়ে সকল যোগাযোগও বাংলায় করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

এর আগে ২০১৪ সালে দূতাবাস ও বিদেশি প্রতিষ্ঠান ছাড়া ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন, গাড়ির নম্বরপ্লেট, সাইনবোর্ড, ব্যক্তিগত নামফলক এক মাসের মধ্যে বাংলায় লেখার আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। উৎস: চ্যানেল আই অনলাইন।

ad

পাঠকের মতামত