191454

ক্যান্সার, টিউমার ও চর্মরোগ প্রতিরোধে তোকমা

আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় তোকমা বহুল ব্যবহূত একটি উপাদান। এশিয়ার বিভিন্ন মিষ্টি পানীয়, খাবারে এর ব্যবহার রয়েছে। বিশেষত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তোকমার ব্যবহার বেশি দেখা যায়। তবে ভারত, তাইওয়ান, ইন্দোনেশিয়াসহ আরো কয়েকটি স্থানে এটি অনন্য ভেষজ উপাদান। সাধারণত পানিতে সারা রাত এ দানাদার ভেষজটি ভিজিয়ে রেখে সকালে পান করা হয়। রমজানের সময় দিনে শরবতের সঙ্গেও এটি ভেজানো হয়।

প্রতি ১০০ গ্রাম তোকমায় রয়েছে ২৩৩ কিলোক্যালরি, ২৩ গ্রাম প্রোটিন ও ৪৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট। অ্যাসিডিটি নিরাময়ক ও তৃষ্ণা নিবারক এ ভেষজ ঘর্মগ্রন্থিকে সচল রাখে, জ্বর ও ঠাণ্ডা প্রতিরোধ করে।

পেট ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাকস্থলীর কোনো সমস্যা হলে তোকমা ভেজানো পানি পান করার প্রথা বেশ পুরনো। পাশাপাশি এটি পাইলস উপশমকারী উপাদান। তোকমা একাধারে লিভার, জরায়ু ও ত্বক ভালো রাখে।

তোকমা প্রোস্টেট ক্যান্সার ও টিউমার প্রতিরোধক বলে পরিচিত। বাতের রোগীদের জন্য এর পাতার রস বেশ উপকারী। এর তেলে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা চর্মরোগ নিরাময় করে।

ভালো ফলের জন্য তোকমা সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে সে পানি পান করুন। যদিও তোকমা পানিতে ভেজানোর ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরই খাওয়া যায়। ইচ্ছা হলে ফলের রস বা পছন্দের পানীয়তে ব্যবহার করতে পারেন বহুগুণের এ ভেষজ উপাদান।

ad

পাঠকের মতামত