191349

পাবনায় বিয়ের দাবিতে বেয়াইয়ের বাড়িতে বেয়ান

পাবনার চাটমোহরে বিয়ের দাবিতে বেয়াইয়ের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে বেয়ান। পরিবারের লোকজন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বেয়ানকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের চিনাভাতকুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রী (১৩) বিয়ের দাবিতে প্রেমিক স্বপন সরকার নামে এক যুবকের বাড়িতে অবস্থান নেয়। স্বপন ওই গ্রামের বৈদ্যনাথ সরকারের ছেলে। তারা সম্পর্কে বেয়াই-বেয়ান।

৪ বছর আগে স্বপনের বড় ভাই প্রভাত সরকারের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর উপজেলার হাদল গ্রামের জনৈক এক নারীর বিয়ে হয়। এরই সূত্র ধরে প্রভাতের শ্যালিকা হাদল ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া জনৈক ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে তার ছোট ভাই স্বপনের (২২) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর থেকে স্বপন এবং ওই স্কুলছাত্রী বেয়াই-বেয়ানের সম্পর্কের সূত্র ধরে একাধিক স্থানে বেড়াতে যায়। মঙ্গলবার বিকালে বিয়ের দাবি নিয়ে স্বপনের বাড়িতে ওই স্কুলছাত্রী অবস্থান নেয়। এ সময় ওই স্কুলছাত্রী বিয়ে না দিলে আত্মহত্যা করবে বলে হুমকি দিলে নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খোকনের জিম্মায় দেন স্বপনের পরিবার। পরে ইউপি চেয়ারম্যান রাত সাড়ে ৯টার দিকে চাটমোহর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এদিকে এ ঘটনার পর স্বপন বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।

জনৈক ওই স্কুলছাত্রী জানায়, স্বপনকে বিয়ে করা ছাড়া আমার কোনো উপায় নেই। আমাকে বিয়ে করবে বলে সে আমার সবকিছু কেড়ে নিয়েছে। আমি তাকে ছাড়া বাঁচব না। বিয়ে না হলে আমি আত্মহত্যা করব।

জানতে চাইলে নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খোকন যুগান্তরকে জানান, মেয়েটির বয়স কম। তারা সম্পর্কে আপন বেয়াই-বেয়ান। বিয়ে না দিলে আত্মহত্যা করবে এমন কথা বলার পর মেয়েটিকে আমি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি।

চাটমোহর থানার থানার ইন্সপেক্টর মো. শরিফুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান, মেয়েটি নাবালিকা হওয়ায় এবং আত্মহত্যার হুমকি দেয়ায় নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে থানা হেফাজতে রাখা হয়। পারিবারিকভাবে তারা বিষয়টি নিষ্পত্তি করবে জানালে মেয়েটিকে বুধবার দুপুরে স্বজনদের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। উৎস: যুগান্তর।

ad

পাঠকের মতামত