191310

ইজতেমা নিয়েও কোন্দল, পেছনের রহস্য কী!

বিশ্ব ইজতেমার সঙ্গে ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। দলমত নির্বিশেষে একটি অরাজনৈতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইজতেমা ছাড়াও সারা বাংলাদেশে তাবলীগ জামায়াত দ্বীন শিক্ষায় মসজিদে মসজিদে তালিম দিয়ে থাকে। এখন এই দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মতপার্থক্য থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু তা যদি কোন্দলে রুপান্তরের মাধ্যমে রাজপথে নেমে আসে তাহলে তা শুধু বেমানান নয়, বিষয়টি বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের আনাচে কানাচে এ প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ কোটি অনুসারীদেও পীড়া দেয়।

মাওলানা সাদ কান্ধলভী বছর খানেক আগে থেকেই ইসলাম ও ইসলামের ইতিহাস নিয়ে অত্যন্ত আপত্তিকর মন্তব্য করার কারণে তাকে বারবার সতর্ক করার পর ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ তার বিরুদ্ধে ফতোয়া দেয়। ওই ফতোয়ায় মুসলমানদের সতর্ক করে বলা হয় মাওলানা সাদ তার বিতর্কিতি মন্তব্য থেকে সরে না আসেন তাহলে তার সঙ্গে কাজ করা ঠিক হবে না। কিন্তু তার ভুল তিনি শোধরাননি। এ কারণেই বাংলাদেশে তার আগমন নিয়ে আলেমরা বিক্ষোভ প্রতিবাদ করছেন।

কিন্তু বিষয়টি যেহেতু আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তির সাথে জড়িত তাই পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এ ব্যাপারে দেখভাল বা পূর্ব সিদ্ধান্ত নেওয়া ছিল অতিজরুরি। এ দুটি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিষয়টির দিকে নজর রাখা হয়েছে ঠিকই কিন্তু কার্যকর কোনো উদ্যোগ না থাকায় মাওলানা সাদ বাংলাদেশে আসার সুযোগ পাচ্ছেন। ভারতের নাগরিক হবার কারণে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে পূর্বে কোনো ধরনের শলাপরামর্শ করলে বিতর্কিত বিষয়টি সহজে এড়ানো যেত।

তবে আলেমদের বিষয়টি নিয়ে কোনো হস্তক্ষেপ করতে চায়নি সরকার। সরকারের ভূমিকা ছিল সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ। এর ফলে এ বিতর্কিত বিষয়টি কোন্দলে রুপান্তর ও তা বিক্ষোভে রুপ নিয়েছে। লক্ষ্য রাখতে হবে এ ইস্যুটি নিয়ে বাংলাদেশের ওপর কোনো ধরনের কালিমা লেপন করে বর্হিবিশ্বে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টিতে কোনো মহল বা কোনো দেশ জড়িত আছে কি না। ধর্মীয় বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর বলেই সরকার শুরু থেকে কোনো হস্তক্ষেপ না করলেও বিষয়টি এড়িয়ে যেতে পারে না। রাজপথে বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে মাওলানা সাদ এলে পরিস্থিতি কোনদিকে মোড় নেবে এবং এ বিষয়টি সম্পর্কে অত্যন্ত সজাগ থাকাও জরুরি। কারণ বিতর্ক এখন বিশৃঙ্খলায় রুপ নিচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। উৎস: আমাদের সময়.কম।

ad

পাঠকের মতামত