190895

তোলপাড় ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদকের নারী কেলেঙ্কারি নিয়ে!

বিএনপির ভ্যানগার্ড খ্যাত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানের নারী কেলেঙ্কারি এবং গোপন বিয়ে নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। সংগঠনটির ভিতরে-বাইরে আকরামুল হাসানের এমন কেলেঙ্কারি নিয়ে নানামুখে চলছে নানা কথা।

পূর্বপশ্চিমের অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব বুঝে পাওয়ার পরই তিনি নানা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন। বিশেষ করে নিজ জেলা নরসিংদীর একজন হিন্দু মেয়ের সঙ্গে প্রেম, প্রণয় এবং কয়েক বছর লিভ টুগেটারও করেছেন। এর বাইরেও তিনি গোপনে নিজ এলাকা শিবপুরের একজন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের মেয়েকে বিয়ে করেছেন বলে জানা গেছে।

আকরামুল হাসানের ঘনিষ্ঠ সূত্র যিনি নরসিংদীর ছাত্রদল এবং বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তিনি পূর্বপশ্চিমকে বলেন, ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান ‘র’ অদ্যক্ষরের এক মেয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন লিভ টুগেদার করেছেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের মেয়েটিকে বিয়ে করবেন বলেও বারবার তিনি প্রতিশ্রুতি দিতেন। বলতেন, আগামী সম্মেলনে ছাত্রদলের সভাপতি হবেন তিনি। এরপরই বিয়ে করবেন। কিন্তু হিন্দু সেই মেয়েটিকে ঠকিয়ে গোপনে বিয়ে সেরে ফেলেছেন। যদিও আকারামুল হাসানের শ্বশুরবাড়ির লোকজন এ বিষয়ে কোনোভাবেই মুখ খুলতে চান না। উল্লেখ্য, নিজ এলাকা নরসিংদীর শিবপুরেই বিয়ের কাজটি অতি গোপনে সেরেছেন আকরামুল।

সূত্র আরো জানিয়েছে, ‘র’ অদ্যাক্ষরের মেয়েটি আকরামুল হাসানের এমন প্রতারণায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও তিনি এখন তা ছেড়ে দিয়েছেন। পূর্বপশ্চিমের পক্ষ থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সরাসরি কিছু বলতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেছেন, আকরাম ভাই আমার এলাকার বড় ভাই। বিশ্ববিদ্যালয়ে একই বিভাগে পড়াশোনা করেছি। আমি তার জুনিয়র ছিলাম। আমাকে হলে উঠানোর বিষয়ে তিনি সহায়তা করেছিলেন। লিভ টুগেদারের বিষয়ে জানতে চাইলে হিন্দু মেয়েটি বলেন, দেখুন পারসোনাল বিষয়গুলো নিয়ে এমনিতেই বিরক্ত আছি। কে বিয়ে করলো না করলো, কার সাথে ছিলাম না ছিলাম সেগুলো নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না। আকরাম ভাই এখন জেলে আছে, তাই কিছু বলবো না।

উল্লেখ্য, আকরামুল হাসান ১৯৯৭-৯৮ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর রাজনীতির মাঠে নামেন। তারচেয়ে জুনিয়র একই বিভাগের ‘র’ অদ্যাক্ষরের মেয়েটির সঙ্গে তখন থেকেই সখ্যতা গড়ে তোলেন তিনি। মেয়েটির বয়স ৩০ পেরিয়ে গেছে এমনকি আকরামুল হাসানের বয়সও ৩৫ এর বেশি। তাই বিয়ে না করায় নানাভাবে মেয়েটির পরিবার ও স্বজনদের কাছ থেকে কথা শুনতে হচ্ছে বলে জানা গেছে।

এদিকে, দেড় বছরের বেশি সময় আগে সভাপতি রাজীব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানের কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও ছাত্রদলের সম্মেলন হয়নি। ফলে এই দীর্ঘ সময়ে তিনি কমিটি বাণিজ্য করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে খোদ সংগঠনটির ভেতরেই। দীর্ঘ সাড়ে ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালে প্রথমবারের মতো গত নভেম্বরে গ্রেপ্তার হন আকরামুল হাসান। বর্তমানে তিনি জেলে রয়েছেন। ফলে তার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়নি। উৎস: পূর্বপশ্চিম

ad

পাঠকের মতামত