190899

এসআইসহ চার পুলিশ ক্লোজড

মহেশপুর থানার এসআই নাজমুল হকসহ চার পুলিশকে সোমবার ক্লোজড করা হয়েছে। প্রশাসনিক কারণে তাদের ক্লোজ করার কথা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হলেও বড় ধরনের সোনা আত্মসাতের ঘটনা জড়িত বলে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। ক্লোজ হওয়া অন্য পুলিশ সদস্যরা হলেন, কনস্টেবল মনিরুজ্জামান, এইচএম এরশাদ ও ওলিয়ার রহমান।

অভিযোগ পাওয়া গেছে, গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মহেশপুরের পুরন্দপুর নামকস্থানে সোনারতরী পরিবহনে অভিযান চালিয়ে পুলিশ পরিচয়ে কতিপয় ব্যক্তি ৬৫ পিস সোনার বার উদ্ধার করে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন। ঘটনা সামনে রেখে মহেশপুর থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করে নিবিড় অনুসন্ধানে নামে পুলিশ। ডাকাতির এই মামলাটি তদন্ত করছে মহেশপুর থানার এসআই আনিসুর রহমান।

এদিকে অনুসন্ধান চালিয়ে ঘটনার দিন সোনারতরি বাসে অভিযান চালানো হাইওয়ে ডিউটিরত পুলিশ সদস্যদের শনাক্ত করা হয়। এরপর জেলা পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে তদন্তে নামে।

জানা যায়, কোটচাঁদপুরের এক চোরাচালান সিন্ডিকেটের গডফাদারকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েই সোমবার সকালে মহেশপুর থানার এসআই নাজমুল হকসহ চার পুলিশকে ক্লোজ করা হয়। তবে সোনার বার উদ্ধার ও আত্মসাতের বিষয়টি পুলিশের পক্ষ থেকে পুরো গোপন রাখা হচ্ছে। বলা হচ্ছে সোনা উদ্ধারের মতো কোন ঘটনাই ঘটেনি।

ক্লোজ হওয়া পুলিশের এসআই নাজমুল হক বলেন, আমি ঘটনার দিন রাতে হাইওয়ে ডিউটিতে ছিলাম। সোমবার সকালে শুনি আমিসহ চার পুলিশ ক্লোজ হয়েছি। কি ঘটনা ঘটেছে আমি কিছুই জানি না। কি কারণে আমিসহ চার পুলিশকে ক্লোজ করা হয়েছে তাও জানি না।

বিষয়টি নিয়ে মহেশপুর থানার ওসি আহম্মেদ কবির জানান, প্রশাসনিক কারণে তাদের সোমবার সকালে ক্লোজ করা হয়েছে। তাদের কি কারণে ক্লোজ করা হয়েছে তা আমি জানি না। তবে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ তদন্ত করছে।

ঝিনাইদহের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ মিডিয়াকে জানান, সোনা উদ্ধার নয়, প্রশাসনিক কারণে তাদের ক্লোজ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ad

পাঠকের মতামত