186265

১০ বছরের বড় ভাবীর সাথে বিয়ে দেওয়ায় বাসর রাতে দেবরের অত্মহত্যা

পারিবারিক চাপে পড়ে ১০ বছরেরও বেশি বড় বিধবা ভাবীর সঙ্গে বিয়ের ঘটনায় আত্মহত্যা করেছে মহাদেব দাস নামে ১৫ বছরের এক কিশোর।
ভারতের বিহারের পারাইয়া থানার অধীনে বিনোভা নগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাল্যবিবাহ, অস্বাভাবিক মৃত্যুসমেত একাধিক ধারায় মামলা করেছে পুলিশ। বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা ৯ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

জানা গেছে, ২০১৩ সালে বিদ্যুৎস্পর্শে মৃত্যুবরণ করে মহাদেবের বড় ভাই। বড় ভাইয়ের বউকে একরকম পারিবারিক চাপে পড়ে বিয়ে করে মহাদেব। এতে সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল।

গত ১০ ডিসেম্বর বিকাল ৫টায় স্থানীয় একটি মন্দিরে মহাদেবের বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। এর পর বাড়িতে গিয়েই কিশোরটি আত্মহত্যা করে। ওইদিনই পুলিশ ওই কিশোরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে মহাদেব বাবা চন্দ্রেশ্বর দাস জানান, রুবি মাধবকে নিজের সন্তানের মতো দেখাশোনা করতেন। তাঁকেই বিয়ে করতে হবে বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি সে।

চন্দ্রেশ্বর আরো জানান, তাঁর বড় ছেলে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করত। তাঁর মৃত্যুর পর ওই কোম্পানি ৮০ হাজার রুপি ক্ষতিপূরণ দেয়। ওই ক্ষতিপূরণের অর্থ নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করেন তিনি।

পরে ক্ষতিপূরণের বিষয়টি জানতে পারেন পূত্রবধূ রুবির মা-বাবা। তাঁরা পুরো অর্থ রুবির অ্যাকাউন্টে জমা করে দেওয়ার জন্য চন্দ্রেশ্বরকে চাপ দেন। অর্থ দিতে না পারায় মাধবকে রুবির সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার দাবি করেন তাঁরা। ফলে বাধ্য হয়েই ছোট ছেলের সঙ্গে পুত্রবধূর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন চন্দ্রেশ্বর।

ad

পাঠকের মতামত