186302

সিজারের পর প্রসূতির পেটে গজ-ব্যান্ডেজ রেখে সেলাই, তদন্ত কমিটি গঠন

সিজারের পর একজন প্রসূতির পেটে গজ-ব্যান্ডেজ রেখে সেলাই দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রাজশাহীর নওদাপাড়া শাখার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি তদন্ত করতে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি।

ওই প্রসূতির নাম স্বাধীনা আকতার শিলা। তিনি জেলার চারঘাট উপজেলার নন্দনগাছি ফকিরপাড়া এলাকার হাফিজুর রহমানের স্ত্রী। গত ১৭ অক্টোবর প্রসব বেদনা উঠলে তাকে ভর্তি করা ওই হাসপাতালে।
শিলার বাবা ইদ্রিস আলী মোল্লা বলেন, পরীক্ষা শেষে ওইদিন সন্ধ্যায় সিজার করার সিদ্ধান্ত দেন হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সুলতানা নাজনীন রিতা। টাকা জমা দেয়ার পর ওইদিনই সিজার করা হয়।
তিনি বলেন, তিনদিনের মাথায় ২০ অক্টোবর দুপুরে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় শিলার প্রথম সন্তানটির। হৃদযন্ত্রের সমস্যা থাকায় শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে ওই সময় জানান চিকিৎসক। ওইদিন শিলাকে ছাড়পত্র দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

শিলার বাবা বলেন, শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় ওইদিনই শিলাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ(রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রামেক হাসপাতালের স্ত্রীরোগ কনসালট্যান্ট ডা. মনোয়ারা বেগমের পরামর্শে নগরের লক্ষ্মীপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে আরেক বার আলট্রাসনোগ্রাম করানো হয়।
ওই রিপোর্টে প্রসূতির ডিম্বাশয়ে সংক্রামণের কথা জানানো হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৩০ অক্টোবর সকালে রামেক হাসপাতালে দ্বিতীয় দফা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিলার ডিম্বাশয় থেকে পুঁজ অপসারণ করেন ডা. মনোয়ারা বেগম। এরপর ৭ নভেম্বর রোগী সুস্থ বলে ছাড়পত্র দেন চিকিৎসক।

তিনি বলেন, বাড়ি ফেরার পর শিলার অবস্থার আরো অবনতি হয়। সবশেষ ৩ ডিসেম্বর তৃতীয় দফা অস্ত্রোপচার করে শিলার পেট থেকে গজ-ব্যান্ডেজ বের করেন চিকিৎসক নাজমুন নাহার তারা।
অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে রাজশাহীর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা. সনজিত কুমার সাহা বলেন, ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে গত বৃহস্পতিবার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হককে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- মেডিকেল অফিসার ডা. মনিরা ও ডা. প্রদীশ কুমার বিশ্বাস। তাদেরকে সাত কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে চাননি সার্জন ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ সুলতানা নাজনীন রিতা।

ad

পাঠকের মতামত