লাখো মানুষের ভালবাসায় বিদায় নিলেন জয়নুল আবেদীন
লালমনিরহাটে লাখো মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে শেষ বিদায় নিলেন সাবেক এমপি ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ জয়নুল আবেদীন সরকার। বৃহস্পতিবার দুপুরে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা এসএস হাই স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে লাখো মানুষ তার জানাজায় অংশগ্রহন করে তাকে শেষ বিদায় জানান। জানাজা শেষে পরিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়েছে এ জনপ্রিয় নেতাকে।
.
বুধবার দুপরে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় সংসদের দক্ষিন প্লাজায়।
বুধবার ভোরে তিনি ঢাকার একটি বেসকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস তেগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭০ বছর।
জয়নুল আবেদীন সরকারের নামাজে জানাজায় সাবেক মন্ত্রী মোতাহার হোসেন এমপি ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হাজার হাজার নেতা-কর্মীসহ লাখো মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, জয়নুল আবেদীন সরকারের মৃত্যুতে বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
হাতীবান্ধা উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক মোশারফ হোসেন জানান, ১৯৮৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহন না করলেও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে প্রথমবার এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন। এরপর তিনি টানা ৪ বার সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
পরে বিএনপি ছেড়ে বিএনপি’র (হুদা-মতিন) গ্রুপে এবং তারোপরে এরশাদের জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন।
বিভিন্ন সময় জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠনিক সম্পাদক ও ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন জয়নুল আবেদীন সরকার।
২০০৯ সালে আবারো বিএনপি’তে ফিরে আসেন তিনি। তখন থেকে লালমনিরহাট জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
উল্লেখ্য, জয়নুল আবেদীন সরকার হাতীবান্ধ-পাটগ্রাম এলাকার অর্ধ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরীতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছেন।
