186030

ভগ্নিপতি-শ্যালকসহ ৩ জনের প্রাণ গেল মদ্যপানে

রাজধানীর মুগদায় অতিরিক্ত মদ্যপানে ভগ্নিপতি ও শ্যালকসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- আবদুর রহমান (৩২), তার শ্যালক সোহেল (২০) ও আবদুর রহমানের বন্ধু জামাল হোসেন (৩৫)। আবদুর রহমান বরগুনার বেতাগী উপজেলার বেতমোড় গ্রামের আব্দুল গনির ছেলে।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে মাণ্ডার কদমআলী ঝিলপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মদের বোতল ও আলামত সংগ্রহ করেছে।

আবদুর রহমানের ছোট ভাই আবদুর রাজ্জাক জানান, আবদুর রহমান ঝিলপাড় এলাকায় জার্মানি বিল্ডিংয়ে স্বপরিবারে থাকতেন। তিনি শাহবাগের মর্ডান ডেন্টাল নামক একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। রাজ্জাক বলেন, সম্প্রতি ভাবি নাসরীন দুই সন্তানকে নিয়ে বরগুনায় তাদের গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যান। গতকাল বুধবার রাতে ভাবি বাসায় না থাকায় তিনি তার দূরসম্পর্কের শ্যালক সোহেল ও বন্ধু জামালকে নিয়ে মদ্যপান করেন। অতিরিক্ত মদ্যপান করায় তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে আমাদের এক আত্মীয় তাদের উদ্ধার করে আবদুর রহমানকে ঢামেক এবং বাকি দুইজনকে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। রাত ১টার দিকে আবদুর রহমানকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। রাত আড়াইটার দিকে সোহেল এবং আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জামাল হোসেন মারা যান।

মৃত সোহেলের ফুফাতো ভাই রেজাউল খন্দকার জানান, সোহেল মাদারীপুর জেলার কালকীনি উপজেলার পশ্চিম পুরালী দাশা গ্রামের মীর নুরুল হকের ছেলে। সে কেরানীগঞ্জের ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অফিস সহকারী হিসাবে কাজ করতো। দুই ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল বড়।

অপর দিকে জামালের চাচা বাবুল হোসেন বলেন, জামাল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানার কাজরদী গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে। তিনি মতিঝিল এজিবি কলোনি কাচাবাজারে মাছ ব্যবসা করতেন। জামাল স্ত্রী ও তিন সন্তানসহ মাণ্ডার বাশপট্টি এলাকায় পুইটকার টিনসেট বাসায় ভাড়া থাকতেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক জানান, ময়নাতদন্তের জন্য তাদের লাশ ঢামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ad

পাঠকের মতামত