185997

প্রেম করে বিয়ে করায় চাকরি হারালেন শিক্ষক দম্পতি

বিয়ের এক মাস আগেই ছুটির জন্য দরখাস্ত করেছিলেন শিক্ষক-শিক্ষিকা। একই স্কুলের দু’টি পৃথক বিভাগে কমর্রত ছিলেন তারা। আবেদন মঞ্জুরও করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ঠিক বিয়ের দিন জানা যায়, চাকরি হারিয়েছেন উভয়েই। দু’জনকেই বরখাস্ত করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

চমকের বাকি ছিল তখনও। নবদম্পতিকে জানানো হয়, তারা ‘প্রেম’ করে বিয়ে করেছেন।
স্কুলের মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষিকার ‘রোমান্টিক সম্পর্ক’ পড়–য়াদের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। তাই এই সিদ্ধান্ত। ঘটনাটি জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার একটি বেসরকারি স্কুলের। প্যামপর মুসলিম এডুকেশনাল ইনস্টিটিউট নামে ওই স্কুলটিতে ছেলে এবং মেয়েদের জন্য দু’টি পৃথক বিভাগ রয়েছে। সেখানেই বিগত কয়েক বছর ধরে কাজ করছেন তারিক ভাট এবং সুমায়া বাসির নামে ওই শিক্ষক-শিক্ষিকা। গত ৩০শে নভেম্বর তাদের বিয়ের দিন ঠিক হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে এক মাস আগেই ছুটির আবেদন করেন তারা। সেই আবেদন মঞ্জুরও হয়। কিন্তু তার পরই বেঁকে বসেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে হতবাক গোটা দেশ। খোদ স্কুল কর্তৃপক্ষের এমন তুঘলকি ফরমান দেখে বিস্মিত ওই শিক্ষক দম্পতিও। শিক্ষক তারিক বলেছেন, ‘প্রেম নয়, বরং দেখাশোনা করেই বিয়ে হয়েছে আমাদের। বিষয়টি গোটা স্কুলই জানে। বিয়ে ঠিক হওয়ার পর সুমায়া স্কুলের কর্মীদের জন্য পার্টিও দিয়েছিল।’ স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের কোনও কথাই শুনতে চাইছেন না বলে জানিয়েছেন তারিক। উল্টো পড়–য়াদের সামনে বিনা দোষে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে তাদের।

গোটা ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি স্কুলের প্রিন্সিপাল। যাবতীয় অভিযোগের তির উড়ে আসছে স্কুলের চেয়ারম্যান বাসির মাসুদির তরফ থেকে

তার কথায়, ‘বিয়ের আগেই রোমান্টিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ওই শিক্ষক-শিক্ষিকা। তাই তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে।’ এরই পাশাপাশি তার দাবি, এই স্কুলে দু’হাজার পড়–য়া এবং দু’শো জন কর্মী রয়েছেন। শিক্ষক-শিক্ষিকার এমন আচরণ তাদের জন্য ঠিক নয়।’ স্কুলের সিদ্ধান্ত যা-ই হোক না কেন নিজেদের সিদ্ধান্ত অটল ওই দম্পতি। তারা বলছেন, ‘আমরা বিয়ে করেছি। এটাই ঠিক সিদ্ধান্ত। কোনও অপরাধ বা পাপ করিনি।’
সূত্র: আনন্দবাজার

ad

পাঠকের মতামত