186015

‘ছিটিকিনি একটি মাত্র হলে মুক্তি পেয়েছে, এটা আমাকে বেশ কষ্ট দিয়েছ’

এরই মধ্যে দক্ষ অভিনয়শিল্পী হিসেবে নির্মাতাদের কাছে বেশ আস্থা তৈরি করেছেন রুনা খান। চ্যালেঞ্জিং চরিত্রের জন্য নির্মাতাদের পছন্দের তালিকায় সবসময়ই থাকেন তিনি। কিছু কিছু চরিত্রের জন্য তার বিকল্প অন্য কাউকে ভাবা যায় না। সহকর্মীরাও তার অভিনয়ের প্রশংসা করেন। আর দর্শক তার অভিনয়ে দারুণ মুগ্ধ। একজন অভিনেত্রীর জন্য এটি অনেক বড় একটি পাওয়া।

চ্যালেঞ্জিং চরিত্রের জন্য রুনা খান কিভাবে নিজেকে তৈরি করেন? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি কাজের সময় পরিচালকের চাওয়াকে গুরুত্ব দিয়ে থাকি। এছাড়া অভিনয়ের সময় আমি চরিত্রের একেবারে গভীরে ঢুকে যাই। নিজেকে সেই রূপেই দেখার চেষ্টা করি। চরিত্রের গভীরে প্রবেশ করতে না পারলে কোনো অভিনয়শিল্পীই সেটিকে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পারবে না বলে আমি মনে করি। অভিনয়ের সময় একজন শিল্পীর উচিত চরিত্রের সঙ্গে মিশে যাওয়া। এদিকে এই অভিনেত্রীর সম্প্রতি ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দায় অভিষেক হয়েছে। গেল ১লা ডিসেম্বর তার অভিনীত তৌকীর আহমেদের ‘হালদা’ ও সাজেদুল আউয়ালের ‘ছিটকিনি’ চলচ্চিত্র দুটি মুক্তি পেয়েছে। আর তার অভিনীত ‘গহীন বালুচর’ নামে আরো একটি চলচ্চিত্র মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এটি পরিচালনা করেছেন বদরুল আনাম সৌদ। বাংলায় একটি প্রবাদ রয়েছে ‘শেষ ভালো যার সব ভালো তার’। সেই দিক থেকে চলতি বছর রুনার ক্যারিয়ারের জন্য দারুণ একটি সুসময় বলা চলে। এই নিয়ে তিনিও বেশ উচ্ছ্বসিত। রুনা বলেন, বিজয়ের এই মাসে আমার দুটি চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে।

খুব শিগগির আরো একটি চলচ্চিত্র দর্শক পাবে। মুক্তিপ্রাপ্ত দুটি ছবির মধ্যে ‘হালদা’র জন্য দর্শকদের কাছ থেকে বেশ প্রশংসা পাচ্ছি। তৌকীর ভাইয়ের মতো একজন গুণী অভিনেতা ও নির্মাতার ছবিতে কাজ করা আমার জন্য সত্যি আনন্দের। এছাড়া ‘ছিটিকিনি’ ছবিটিও যারা দেখছেন তারা প্রশংসা করছেন। তবে এ ছবিটি একটি মাত্র হলে মুক্তি পেয়েছে। এটা আমাকে বেশ কষ্ট দিয়েছে।

কারণ কোনো  ছবি মাত্র একটি হলে মুক্তি পাওয়া খুবই দুঃখজনক। মুক্তি প্রতীক্ষিত ‘গহীন বালুচর’ ছবিটি নিয়েও আমি বেশ আশাবাদী। এছাড়া সুবর্ণা আপা আমার অনেক পছন্দের একজন অভিনেত্রী। তার সঙ্গে একই ছবিতে কাজ করতে পেরে নিজকে সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে। ‘গহীন বালুচর’ ছবিতে তার চরিত্রটি কেমন জানতে চাইলে রুনা বলেন, এটি একটি পারিবারিক গল্পের ছবি। এই ছবিতে আমাকে গ্রামের সহজ-সরল একটি মেয়ের চরিত্রে দেখা যাবে। তাকে প্রতিনিয়ত নানা রকম প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে বাঁচতে হয়। এই ছবিতে আমার বিপরীতে অভিনয় করেছেন জিতু আহসান। আগামীতে চলচ্চিত্রে নিয়মিত হওয়ার ইচ্ছে রয়েছে? রুনা খান বলেন, আমার কাছে অভিনয় মুখ্য বিষয়। আমি মঞ্চ থেকে টিভি নাটকে এসেছি। গল্প ও চরিত্র পছন্দ হলে যেকোনো মাধ্যমে কাজ করতে চাই। এই মুহূর্তে নির্দিষ্ট কোনো পর্দা নিয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই। আমি পরিকল্পনা অনুযায়ী কোনো কাজ করতেও পারি না। সময় বলে দেবে কখন কোন পর্দায় কাজ করবো। তবে নতুন বছরে নাটকের পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও দেখা যাবে আমাকে। প্রসঙ্গত, চলতি বছর বড় পর্দার পাশাপাশি ছোট পর্দায়ও এই অভিনেত্রীকে নিয়মিত দেখা গেছে।

অনিমেষ আইচ, সোহেল আরমান ও সোহরাব দোদুলের মতো গুণী নির্মাতাদের সঙ্গে তার কাজ করার সুযোগ হয়েছে বলে জানান তিনি। এদিকে বর্তমানে ছোট পর্দায় বেশ ভালো কাজ হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। বিভিন্ন চ্যানেলে তার অভিনীত ‘সংসার’, ‘জল রং’, ‘বুবনের সাত সতের’সহ বেশ কিছু ধারাবাহিক নাটক প্রচার হচ্ছে। প্রতিটি ধারাবাহিকে বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। ধারাবাহিকের বাইরে আসছে বিজয় দিবসের একটি খণ্ড নাটকেও তাকে দেখা যাবে। বিজয় দিবসের প্রসঙ্গ ধরে দেশকে নিয়েও এই অভিনেত্রী তার মতামত প্রকাশ করেন। প্রত্যেকেই প্রত্যেকের নিজ নিজ জায়গায় সৎ থাকলে দেশ এগিয়ে যাবে বলে তার ভাষ্য। তিনি আরো বলেন, শিল্পীদের সাধারণ মানুষ অনুকরণ-অনুসরণ করেন। সে দিক থেকে শিল্পীদের সামাজিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকা উচিত। উৎস: মানবজমিন।

ad

পাঠকের মতামত