185798

সৌদিতে ১৮১০৬০ প্রবাসী গ্রেফতার, জেনে নিন কোন দেশের কত জন…

চলমান যৌথ অভিযানে গত ১ মাসে ১,৮১,০৬০ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে অবৈধ হয়ে যাওয়াসহ কাজের বিধিমালা লঙ্ঘন ও বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
এদের মাঝে ৭৮% ইয়েমেনি, ২১% ইথিওপিয়ান এবং ১% অন্যান্য দেশের লোক। ৪৩০ জনকে অবৈধদের পরিবহন ও সাহায্য করার জন্য আটক করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে ৩৪,৬৯৭ জনকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে, ২১,৭১১ জনকে সাথে সাথেই শাস্তি দেয়া হয়েছে এবং ২২,৬০৮ জনকে নিজ দূতাবাসে ট্রাভেল ডকুমেন্টের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে।

একন জরে জেনে নিন সৌদি আরব সম্পর্কে
সৌদি আরব সরকারিভাবে সৌদি আরব সাম্রাজ্য নামে পরিচিত। আয়তনের দিক দিয়ে পশ্চিম এশিয়ার সবচেয়ে বড় আরব দেশ যার আয়তন ২১,৫০,০০০ বর্গ কিমি। আলজেরিয়ার পরে আরব বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। এর উত্তরে জর্ডান ও ইরাক, উত্তরপূর্বে কুয়েত ,পূর্বে কাতার, বাহরাইন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত অবস্থিত, দক্ষিনপুর্বে ওমান ও দক্ষিনে ইয়েমেন অবস্থিত।

সৌদি আরব মূলত চারটি সতন্ত্র অঞ্চল হেজাজ, নজদ, আল হাসা পুর্বাঞ্চলীয় আরব এবং আসির দক্ষিণাঞ্চলীয় আরব নিয়ে গঠিত। আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ ১৯৩২ সালে সৌদি আরব সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ১৯০২ সালের শুরুতে রিয়াদ ও তার পুর্ব পুরুষের রাজ্য দখলসহ ধারাবাহিক যুদ্ধের মাধ্যমে চারটি অঞ্চলকে একত্রিত করে একটি রাষ্ট্রে পরিণত করেন। দেশটি পুরোপুরি রাজতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পরিচালিত হয় এবং আইনের ক্ষেত্রে ইসলামি আইনের অনুসরণ করা হয়। ইসলামের দুই পবিত্র মসজিদ মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীর কারণে এই দেশটাকে দুই পবিত্র মসজিদের দেশ বলা হয়।

দেশটিতে ২,৮৭,০০০০০ জন বাস করে যার মধ্যে দুই কোটি সৌদিয়ান আর ৮৭০০০০০ জন বিদেশী। পৃথিবীর এক নাম্বার তেল উৎপাদনকারী ও রপ্তানিকারক দেশ এবং পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম হাইড্রোকার্বন মজুদকারি। এই তেলের কারণে দেশটির অর্থনীতি যেমন বাড়ছে তেমনিভাবে এর মানব সম্পদ উন্নয়ন সূচকেও উপরের দিকে তাছাড়াও একমাত্র আরব দেশ হিসেবে জি-২০ প্রধান অর্থনৈতিক শক্তির সদস্য। দেশটি তার অর্থনীতিকে কর্পোরেশন কাউন্সিল ফর দ্য আরব স্টেটস অব দ্য গালফ (জিসিসি) এর মধ্যে ডাইভারছিফাইড করছে।

পৃথিবীর চতুর্থ সামরিক খরচ দেশটি বহন করে। দেশটিকে মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষমতাধর দেশ হিসেবে ধরা হয়।দেশটি জিসিসি, ওআইসি ও ওপেক এর সদস্য।

রাজনীতিরাষ্ট্র রাজতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শাসিত হয়। তাই রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড বা নির্বাচনের ব্যবস্থা নেই। ১৯৯২ সালে রাজকীয় ফরমানের মাধ্যমে চালু করা মৌলিক আইন অনুযায়ী বাদশাহকে অবশ্যই শরিয়ার প্রয়োগ করতে হবে এবং এতে কুরআন ও সুন্নাহকে রাষ্ট্রের সংবিধান হিসেবে গ্রহণ করা হয়।সংবিধান হিসেবে কোরআানকে গ্রহন করা হলেও এখানে রাজতন্ত্রই বিদ্যমান। প্রথা অনুযায়ী ঐতিহ্যবাহী গোত্রীয় সম্মেলন মজলিসে প্রাপ্ত বয়স্ক যেকোনো ব্যক্তি বাদশাহর কাছে আবেদন করতে পারে।

ad

পাঠকের মতামত