185623

সুকৌশলে কনস্টেবলের স্ত্রীর শয্যাসঙ্গী এসআই বেলাল, ধরা পড়ে অতপর…

 

অভিযুক্ত এসআই বেলাল রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক বেলাল হোসেনের বিরুদ্ধে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার দিবাগত রাতে ওই কনস্টেবলের স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েন।
কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কর্তব্যরত কয়েকজন পুলিশ সদস্য জানান, বেলাল হোসেন তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। থাকতেন তদন্ত কেন্দ্রের ভেতরে কোয়ার্টারের দ্বিতীয় তলায়। নিচতলায় ভুক্তভোগী পুলিশ কনস্টেবল স্ত্রী ও শিশুসন্তানকে নিয়ে থাকেন। গত বেশ কিছু দিন ধরেই ওই কনস্টেবলের স্ত্রীর সঙ্গে বেলালের অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

বেলাল সুযোগ পেলেই ওই কনস্টেবলকে তদন্ত কেন্দ্রের বাইরে কাজে পাঠাতেন। হেরোইন ও ইয়াবা জব্দ করা হলে ঢাকায় পরীক্ষার জন্য নমুনা নিয়ে তিনি ওই কনস্টেবলকেই পাঠাতেন। এরপর অবৈধভাবে মেলামেশা করতেন তার স্ত্রীর সঙ্গে।

সূত্র জানায়, সোমবার রাতেও মাদকের নমুনা নিয়ে তিনি ওই কনস্টেবলকে ঢাকায় পাঠান। কিন্তু রাতে ওই কনস্টেবল রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে পৌঁছার আগেই ট্রেনটি প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে চলে যায়। ওই কনস্টেবল রাত ২টার দিকে কোয়ার্টারে ফিরে যান। এ সময় তিনি দেখেন- নিচতলায় তার স্ত্রী ঘরে নেই। পরে তিনি দ্বিতীয় তলায় গিয়ে বেলালের সঙ্গে তার স্ত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান।

ওই কনস্টেবল এই সময় বাইরে থেকে দরজায় তালা দিয়ে বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেন। এরপর জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমিত চৌধুরী, সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার একরামুল হক ও গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিপজুর আলম মুন্সি তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে বেলালের ঘরের তালা খুলে দুজনকে একসঙ্গে পান।

গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিপজুর আলম মুন্সি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মানবজমিনকে বলেন, ‘এসআই বেলালকে আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়া গেছে। তবে তার বিরুদ্ধে কি ধরণের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে সে বিষয় তিনি কিছু জানেন না।’
রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁঞার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কিছু জানেন না বলে মন্তব্য করেন। উৎস: মানবজমিন।

ad

পাঠকের মতামত