185432

মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক, যেভাবে উদ্ধার হল মেয়েটি

ফোন সে করত ইচ্ছেমতো সংখ্যা টিপে। সে ভাবেই আলাপ এক কিশোরীর সঙ্গে। ২৫ বছরের মহম্মদ কালাম যে বিবাহিত সে কথা সে ঘুণাক্ষরেও বলেনি মেয়েটিকে। বরং তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নিজের কাছে এনে চেষ্টা করে বিক্রি করে দেওয়ার। এ কাজে তার সহকারী ছিল তারই স্ত্রী! অবশেষে পুলিশের ফাঁদে পড়ল তারা। আপাতত ঠাঁই তাই শ্রীঘর।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, কানপুরের এক ১৬ বছরের কিশোরীর সঙ্গে ফোনেই আলাপ হয় লখনউ-এর কালামের। ঘটনা

গত অক্টোবরের। তার পর মাস দুয়েক ধরে তার সঙ্গে নাগাড়ে প্রেমের অভিনয় করে গিয়েছে কালাম। এমনকী, ভিডিও কলের মাধ্যমেও কথা বলে তারা।

এর পরই মেয়েটিকে ফুঁসলিয়ে নিজের কাছে নিয়ে আসে সে। তার পর তার স্ত্রী ও সে দু’জনে মিলে একটি ঘরে আটক করে রাথে। মেয়েটির বাবা-মা পুলিশে নিখোঁজ ডায়রি করেন। কিন্তু পুলিশ কোনও সন্ধান পায়নি মেয়েটির।

পেশাগত ভাবে নারী পাচারকারী কালাম চেয়েছিল উত্তরপ্রদেশের এক পতিতা পল্লিতে বেচে দিতে। কিন্তু মেয়েটি প্রবল প্রতিবাদ করায় সে পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। এর পর সে চেয়েছিল লখনউ-এর এক ডান্স বারে তাকে বেচতে। সেখানেও ব্যর্থ হওয়ার পরে মরিয়া হয়ে কালাম মেয়েটিকে নিয়ে চলে আসে রাজধানী দিল্লিতে। সেখানেই সে হাতে পড়ে যায় পুলিশের।

এক সাদা পোশাকের পুলিশ তার সঙ্গে দরাদরি করে শেষ পর্যন্ত ২ লাখ ২০ হাজারে রফা করে। এর পরই কালাম তাকে মেয়েটির ছবি দেখায়।

কাহিনির শেষ পর্বে ওই পুলিশ কর্মী এক জায়গায় কালামকে তার সঙ্গে দেখা করতে বলে। সেখানেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে কালাম। জামা মসজিদের কাছে এক বাড়ি থেকে গ্রেফতার তার স্ত্রী শাহিন ওরফে মুসকান।

মেয়েটিকেও উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে শিশুকল্যাণ কমিশনের হাতে তুলে দেওযা হয়েছে। শিগগিরিই তাকে তার বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

ad

পাঠকের মতামত