185417

এই ছিলো শাকিবের মনে!

বিনোদন ডেস্ক: বাংলা চলচ্চিত্রের সুপারস্টার শাকিব খান। অপরদিকে সুপারস্টার খ্যাত অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস। দু’জনই বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় জুটি। দু’জনে মিলে একে একে অভিনয় করেছেন ৭০টির মতো ছবিতে। এরমধ্যে প্রায় সব ক’টিই জনপ্রিয় পায়।

অপু বিশ্বাস ২০০৪ সালে আমজাদ হোসেনের ‘কাল সকালে’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন। এরপর ২০০৬ সালে পরিচালক এফ আই মানিক পরিচালিত ‘কোটি টাকার কাবিন’ ছবিতে নায়িকা হিসেবে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেন তিনি।

২০০৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত টানা এই জুটি একাধারে ৭০টির মতো ছবিতে জুটি বাঁধেন। একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে একসময় পরস্পর প্রেমের বাঁধনে জড়িয়ে যান। এরপর ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন শাকিব-অপু। বিষয়টি গোপন ছিল। মুসলমান হয়ে বিয়ের পর অপু বিশ্বাসের নাম রাখা হয় অপু ইসলাম খান।

এরপর এ বছরের ১০ এপ্রিল (সোমবার) বিকেল ৪টায় দেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে, একপ্রকার হাটে হাড়ি ভেঙে দেন অপু। বিষয়টি নিয়ে শাকিব নাখোশ ছিলেন প্রথম থেকেই। শাকিব বরাবরই অপুকে এড়িয়ে চলতেন। দেখা করতে যেতেন না। এমনকি ফোনেও কথা বলতেন না। সবসময়ই অপুর দোষত্রুটি খুঁজে বেড়িয়েছেন।

এদিকে, এরইমধ্যে দেশের শীর্ষ গণমাধ্যমসহ প্রায় সব অনলাইন পোর্টালগুলোতে একাধিকবার তাদের বিয়ের গুঞ্জণ বেড়িয়েছে। তবে সেগুলো বরাবরই শাকিব অপু দু’জনই উড়িয়ে দিয়েছেন।তবে,গত এক মাস ধরে মিডিয়ায় বেশ জোরালোভাবেই প্রকাশ হয়ে আসছিল। কিন্তু শাকিব এ ব্যাপারে সরাসরি কিছুই বলেননি। অপুও বারবার চেষ্টা করেছেন শাকিবের মুখ থেকে সরাসরি বিষয়টি শুনতে। কিন্তু কারও মধ্যে কোনো কথা না হওয়ার কারণে বিচ্ছেদের ব্যাপারে সে সময় অপু নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারেননি।

সর্বশেষ জানা যায়, সব গুঞ্জণকে সত্যি প্রমাণ করে দিয়েছেন শাকিব খান। আইনজীবীর মাধ্যম তিনদিন আগে অপুর নিকেতনের বাসায় তালাকনামা পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে। শাকিব খানের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সূত্র জানায়, ডিভোর্সের সেই চিঠিটি শাকিব তার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে অপুর কাছে পাঠিয়েছেন। কিন্তু অপু সোমবার বিকাল পর্যন্ত চিঠি পাওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন।

এরইসাথে এই চিঠি পাঠানোর মধ্য দিয়ে শেষ হলো ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় এ জুটির ৯ বছরের দাম্পত্য সম্পর্ক।এদিকে শাকিবের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না অপুর ভক্তরা। এমনকি শাকিব খানের ভক্তরা এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন। অনেকে আবার বলতে শুরু করেছেন, শাকিব গোপনে গোপনে বুবলির সাথে সম্পর্ক গভীর করছেন। তাই অপুর বিশ্বাসের সাথে সম্পর্ক ক্লোজ করছেন।সবার মুখে একটাই কথা, এই ছিলো শাকিবের মনে?

ad

পাঠকের মতামত