184855

গেইলের ছক্কা বৃষ্টিতে রংপুরের বিশাল জয়

সঠিক সময়ে সঠিক দিনে নিজের আসল রূপটা দেখিয়ে দিলেন ক্যারিবীয় দানব ক্রিস গেইল। তার যে বিখ্যাত ছক্কা দেখার জন্য দর্শকরা অনেক কষ্ট করে টিকিট কেটে মাঠে এসেছেন, তাদের নয়ন যেন সার্থক হলো।

দুই-চার কিংবা পাঁচটি নয়, মোট ১৪ টি ছক্কা হাঁকালেন ক্যারিবীয় দানব। তুলে নিলেন চলতি বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরি। তার দানবীয় ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেটে উড়ে গেল খুলনা টাইটানস।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৬৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ঝড়ের গতিতে ব্যাটিং শুরু করেন ক্রিস গেইল আর সোহাগ গাজী। তবে দলীয় ২৪ রানে সোহাগ গাজীকে (১) আর্চার বোল্ড করে দিলে ওপেনিং জুটিটা বড় হয়নি। ১ বল পরেই ম্যাককালামকে (০) আরিফুল হকের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত করেন আর্চার। কিন্তু অন্যপ্রান্তে ঠিকই ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছিলেন ক্রিস গেইল। তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়ে যান উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিথুন।

গেইলের ব্যাটিং তাণ্ডবে ঝড়ের গতিতে রান তুলতে থাকে রংপুর রাইডার্স।

মাত্র ২৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করার পর আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন ক্যারিবীয় দানব। উইকেটের চারদিকে চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি ছোটে। গ্যালারিতে দর্শকদের চিৎকারে কান পাতাই দায়। ৪৫ বলে তুলে নিলেন সেঞ্চুরি। চলতি বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরি। এর আগে সিকান্দার রাজা ৯৫ রান করেছিলেন।
ম্যাচ শেষ হওয়ার অনেক আগেই রংপুর রাইডার্সের জয় সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। শেষ পর্যন্ত ৫১ বলে অপরাজিত ১২৬ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন গেইল। ছক্কা হাঁকিয়েছেন ১৪টি। বিপরীতে চার মেরেছেন মাত্র ৬টি। তাকে সঙ্গ দেওয়া মোহাম্মদ মিথুনও ৩৬ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন। ২৮ বল আর ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রংপুর রাইডার্স।

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৭ রান তোলে খুলনা টাইটানস। দলীয় ২১ রানে নাজমুল হোসাইন শান্তকে (১৫) কট অ্যান্ড বোল্ড করে দেন সোহাগ গাজী। আফিফ হোসেনও ইনিংস বড় করতে পারেননি। মালিঙ্গার বলে বোল্ড হয়েছেন ১১ রান করে। খুলনার ইনিংসে তৃতীয় আঘাত হানেন নাজমুল ইসলাম। অধিনায়ক মাহমুদ উল্লাহর (২০) মহাগুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি তুলে নেন তিনি। একপ্রান্ত আগলে ব্যাট করছিলেন ওপেনার ক্লিঞ্জার। ২৬ বলে ২১ রানের ধীরগতির ইনিংস খেলে তিনি রবি বোপারার বলে বোল্ড হয়ে যান।

উইকেটে এসেই ক্যাচ তুলে দেন নিকোলাস পুরান। কিন্তু রবি বোপারা আর মাশরাফির ভুল বোঝাবুঝিতে ক্যাচটি হাতছাড়া হয়। জীবন পেয়ে পুরান আক্রমণাত্বক হওয়ার চেষ্টা করেন। আরিফুল হকও উইকেটে জমে গিয়েছিলেন। স্বভাবসুলভ শট খেলছিলেন। তার ৩০ বলে ২৯ রানের ইনিংসটি শেষ হয় রুবেল হোসেনের বলে বোপারার হাতে ধরা পড়ে। শেষ ওভারের প্রথম বলে পুরানকেও (২৮) এলবিডাব্লিউ করে দেন মালিঙ্গা। খুলনার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৬৭ রান।

ad

পাঠকের মতামত