184696

বলিউডের সবচেয়ে বড় বাজেটের ১০টি ফ্লপ ছবি

মাঝে মাঝে বড় পরিচালক‚ সুপারস্টার অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং অকল্পনীয় বড় বাজেট থাকা সত্ত্বেও ছবি সুপার ফ্লপ হয়। আজকে সেইরকম দশটা ছবি নিয়ে আলোচনা করবো যা প্রচুর টাকা খরচা করে বানানো হয়েছে কিন্তু তাও বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে।

মঙ্গল পাণ্ডে : মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান যখন আছেন তখন সবাই ভেবেছিল হয়তো এই ছবি সুপারহিট হবে। কিন্তু স্বাধীনতা সংগ্রামী মঙ্গল পাণ্ডে এবং একজন বারবণিতার প্রেম মোটেই ভালোভাবে নেয়নি দর্শক। ছবি বানাতে খরচা হয় ৩৫ কোটি টাকা। বক্স অফিসে ৫০% টাকা অব্দি তুলতে সক্ষম হয়নি এই ছবি।

অশোকা : শাহরুখ খানের এই ‘ড্রিম প্রজেক্ট‘ না দর্শক না সমালোচক কারও মনে ধরলো না। তিন ঘণ্টার এই ছবি তখনকার দিনে ১৩ কোটি টাকা খরচা করে বানানো হয়েছিল।

সাওয়ারিয়া : ৪০ কোটি টাকা খরচা করে রণবীর কাপুর এবং সোনম কাপুরের ডেব্যু ছবি বানানো হয়। সঞ্জয় লীলা বনশালি এই ছবির পুরটাই নীল রঙের সেটে শ্যুট করেন। কিন্তু ছবির চিত্রনাট্য এতটাই খারাপ ছিল যে কিছুই বাঁচাতে পারেনি এই ছবি কে।

কাইটস : সুপারস্টার ছেলে‚ ব্রিলিয়ান্ট পরিচালক‚ মেক্সিকান সেক্সি নায়িকা‚ ভালো মিউজিক কেউ বাঁচাতে পারেনি এই ছবিকে। এই ছবি হৃতিকের সেরা ছবি হতে পারতো কিন্তু তা হলো না। এই ছবি বানাতে রাকেশ রোশনের ১৫০ কোটি টাকা নষ্ট হয়।

শানদার : ৭৫ কোটি টাকা খরচা করে শাহিদ কাপুর এবং আলিয়া ভট্ট কে নিয়ে এই ছবি বানানো হয়। এই ছবি মুক্তির জন্য অধীর অপেক্ষায় ছিলেন অনেকেই। কিন্তু ছবি মুক্তির প্রথমদিনেই বোঝা গেল কী পরিণতি হতে চলেছে এই ছবির। যদিও ছবির গান সুপারহিট হয় কিন্তু যে ছবির চিত্রনাট্যরই কোন মাথামুণ্ডু থাকে না তাকে কে বাঁচাতে পারে বলুন?

বম্বে ভেলভেট : ২০১৫ র অন্যতম ফ্লপ ছবির এটা। এই ছবি মুক্তি পাওয়ার পর বহু সিনেমা হলেই নাকি দর্শক ছবির পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপের দিকে কাঁচা খিস্তি ছুড়ে দেয়। ১২৫ কোটি দিয়ে তৈরি হয় এই ছবি। কিন্তু ১০০ কোটি টাকাও কামাতে পারলো না এই ছবি। অনেকেই এই ছবিটাকে বলিউডের ইতিহাসে সব থেকে বড় ফ্লপ ছবি মানেন। এই ছবি দেখার পর অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠে আসে – রণবীর কাপুর এবং আনুশকা শর্মার মত পোক্ত অ্যাক্টাররা কেন এই ছবিটা করতে রাজি হলেন?

রূপ কী রানি চোরো কা রাজা : শোনা যায় প্রযোজক বনি কাপুর নাকি এই ছবির পিছনে নিজের সমস্ত অর্থ লগ্নি করেছিলেন। ওই সময় হিন্দি ছবি বানাতে লাখ টাকা খরচা হত সেখানে উনি এই ছবি বানাতে ৯ কোটি টাকা খরচা করেন। ছবির প্রথম পরিচালক শেখর কাপুর হয়তো আগেই আন্দাজ করেছিলেন ছবির পরিণতি কী হবে তাই মাঝ রাস্তায় এই ছবি ছেড়ে পালিয়ে যান উনি। অবশ্য যে ছবির গল্প‚ সংলাপ এবং মিউজিক কিছুই ঠিক নেই সেখানে আর কী বা আশা করা যায়।

লাভ স্টোরি ২০৫০ : অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড থেকে ভিস্যুয়েল আর্টিস্ট আনা হয় এই ছবির জন্য। প্রযোজক হ্যারি বাওয়েজা ছেলে হারমান বাওয়েজার জন্য জলের মতো টাকা খরচা করেন এই ছবির পিছনে। কিন্তু ভিত্তিহীন চিত্রনাট্যর কারণে বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে এই ছবি।

রাবণ : মণিরত্নমের নাকি এই ছবির মাধ্যমে আবার ‘কাম ব্যাক‘ করার কথা ছিল। ছবি বানাতে খরচা হয় ১০০ কোটি টাকা। কিন্তু ছবি মুক্তির পর ঐশ্বর্য্য রাই বা অভিষেক বচ্চন কেউ বাঁচাতে পারেননি এই ছবিকে।

ad

পাঠকের মতামত