184631

কলেজছাত্র মোমিন হত্যায় ২ জনের ফাঁসির রায় বহাল

কলেজছাত্র কামরুল ইসলাম মোমিন হত্যা মামলায় দুই আসামির ফাঁসি এবং ছয় আসামির যাবজ্জীবন দণ্ডের রায় বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। এ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করেন।

চাঞ্চল্যকর মামলাটিতে রাজধানীর মতিঝিল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত। অবশ্য কারাবন্দি অবস্থায় প্রায় দুই বছর আগে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে মারা যান রফিকুল ইসলাম।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ ও নির্মল কুমার দাস। আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, আইনজীবী এ কে এম তৌহিদুর এবং পলাতক আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী শফিকুর রহমান কাজল। রায়ের পরে বশির আহমেদ বলেন, আদালত ডেথ রেফারেন্স গ্রহণ করেছেন। বিচারিক আদালতের দণ্ড বহাল রেখেছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য দুই আসামি হলেন- তারেক ওরফে জিয়া ও শাখাওয়াত হোসেন জুয়েল। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মোহাম্মদ জাফর, শরিফ উদ্দিন, মনির হাওলাদার, হাসিবুল হক ওরফে জনি, হাবিবুর রহমান ওরফে তাজ, ঠোঁট উঁচা বাবু। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শাখাওয়াত জুয়েল ও তারেক পলাতক।

এছাড় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত হাবিবুর রহমান ওরফে তাজ, ঠোঁট উঁচা বাবু ছাড়া বাকীরা পলাতক।
২০০৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা কমার্স কলেজের ছাত্র ও জাসদ ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর শাখার সহ সাধারণ সম্পাদক মোমিনকে তাদের উত্তর ইব্রাহিপুর বাসার কাছে কলেজে যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। বাড়ির সীমানা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ওসি রফিক সন্ত্রাসীদের দিয়ে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন অভিযোগ করে কাফরুল থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন মোমিনের বাবা আবদুর রাজ্জাক (প্রয়াত)।

মতিঝিল থানার তৎকালীন ওসি এ কে এম রফিকুল ইসলামসহ ২৬ জনকে মামলায় আসামি করা হয়। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মো. রেজাউল ইসলাম ২০১১ সালের জুলাই মাসে মোমিন হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। পরে এ মামলার ডেথ রেফারেন্সের (মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ) প্রয়োজনীয় নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। আপিল করেন আসামিপক্ষও।

ad

পাঠকের মতামত