184373

যা ভাবছেন শাকিব-অপুর ডিভোর্স নিয়ে তাদের সহকর্মীরা

শাকিব-অপুর ‘ডিভোর্স’ এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। সোমবার (০৪ ডিসেম্বর) এই তারকা দম্পতির ডিভোর্সের খবর ইন্ডাস্ট্রিতে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তোলে। ডিভোর্সের কারণ হিসেবে এক একজনের এক এক মত।
এ নিয়ে কি ভাবছেন সহকর্মীরা? কতটা প্রভাব ফেলতে পারে এই সময়ে ইন্ডাস্ট্রিতে।

ফেরদৌস
ওদের দুজনের মনের মধ্যে কি হচ্ছে তা ওরাই ভালো জানে। ওদের বিষয়ে গুঞ্জন শুনেছি আগে, কিন্তু তাদের ব্যক্তিগত বিষয়ে কথা বলার জন্য আমাদের কেউই হস্তক্ষেপ করিনি। তবে এখন ওরা এমন একটা স্টেজে চলে এসেছে যে আমাদের এগিয়ে যাওয়া উচিত। ওরা আমাদেরই সহকর্মী ভাই বন্ধু। দিনশেষে প্রত্যেকটা মানুষকে সুখী দেখতে চাই। ওদের সন্তানের দিকে তাকিয়েও ওদের সিদ্ধান্তটা ভাবা উচিত। আশাকরি সিনিয়র কারো আহবানে আমরা খুব শিগগিরই ওদের সঙ্গে বসব।

মিশা সওদাগর
আমি শাকিব আর অপুর ব্যক্তিগত বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। একটা সময় ওরা দুজনই আমার খুব কাছের ছিল। হয়তো কোনো না কোনো কারণে তাদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয় না। শুধু এটুকু বলবো, তারা আমাদের চলচ্চিত্রকে প্রতিনিধিত্ব করতো। তাদের উচিত ছিল আমাদের ইন্ডাস্ট্রির কথা ভাবা। আর এখন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেখানে আমাদের চলচ্চিত্রের কোনো কিছু আসবে যাবে না। কারণ আমাদের চলচ্চিত্রের এখন কি-ই বা আছে যে ক্ষতি হবে! বছরে ৫টি হিট সিনেমা নেই, নেই কোনো ভালো পরিচালক, নেই কোনো সিনেমা হল। আমাদের ইন্ডাস্ট্রির এমনিতে নাই অবস্থা, আরও নাই অবস্থা হয়ে গেল এখন। ইন্ডাস্ট্রির প্রতি মানুষের ভক্তি শ্রদ্ধা নতুন করে উঠে যাবে।

মৌসুমী
সত্য অস্বীকার করার ক্ষমতা নেই। শাকিব তার সন্তানকে স্বীকার করেছে। অপুর উচিত ছিল অন্য সবকিছু বাদ দিয়ে এই সংসারটা আগে গুছানো। একটা মেয়ের কাছে সংসারের চেয়ে বড় আর কি হতে পারে! কিন্তু আমি যতদূর শুনেছি বা দেখেছি। অপুর কোনো চেষ্টা ছিল না। শাকিবও তার মতো চলেছে। ফলশ্রুতিতে আজকে এসব হচ্ছে। কাউকে না কাউকে ছাড় দিতে হবে। ওরা কেউই ছাড় দিতে হয়তো রাজি ছিল না। ক্ষতিটা মূলত আমাদের ইন্ডাস্ট্রিরই হয়েছে। ওদের যে শক্ত জুটি ছিল, যে বিনিয়োগ ছিল তাদের জুটির পেছনে এটা হয়তো আর উঠে আসবে না। দু’জন যদি আলাদা আলাদা কাজ করে সেক্ষেত্রে হয়তো সমস্যা হবে না। তবে কাজ যেভাবেই করুক। ডিভোর্স লেটার সবে পাঠিয়েছে, আশা করব এমন কিছু যেন না হয়।

পূর্ণিমা
অপু-শাকিবের বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। ওদের দু’জনের ঘটনা ইন্ডাস্ট্রির যে কি ক্ষতি করেছে সেটা ওরা নিজেরাও জানে না। উত্তম কুমার মারা যাওয়ার পর ভারতীয় চলচ্চিত্র উঠে দাঁড়াতে সময় লেগেছে ২০ বছর। আমাদের সালমান শাহ, মান্না মারা যাওয়ার পর আমরা আর কোনো সালমান শাহ, মান্না তৈরি করতে পারিনি। শাকিবের এই ঘটনা শাকিব বেঁচে থেকেও মরে যাওয়ার মতো। আমাদের ইন্ডাস্ট্রি আরও কয়েকবছর পিছিয়ে গেল। আমার মনে আছে কাজী হায়াৎ একবার আড্ডায় বলেছিল ভাগ্যিস শাকিব আমাদের দেশে জন্মেছে, পাশের দেশে জন্মালে বলিউডে ৪ জন খান হয়ে যেত। শাকিবের নিজের মূল্যটা বোঝা উচিত ছিল। একই কথা অপুর ক্ষেত্রেও, আমাদের নায়িকাদের মধ্যে আধিপত্য ছিল তার। তাদের ভুলের খেসারত দিতে হবে এখন পুরো চলচ্চিত্র অঙ্গনকে। বাচ্চা ছেলেটার দিকে তাকিয়েও ওদের এমন করা উচিত নয়।

রিয়াজ
ওদের দুজনকেই আমি খুব স্নেহ করি। অপু-শাকিবের বিষয়টি যেটা ঘটেছে সম্পূর্ণ ভুল বোঝাবুঝি থেকেই ঘটেছে বলে আমি মনে করি। একটা বিষয় লক্ষ্য করুন ইন্ডাস্ট্রিতে ওদের আগমন ২০০৬ সালে। দু-বছরের বোঝাপড়ায় তারা বিয়ে করে। ৮ বছরের সংসার জীবনে এখন তাদের বোঝাপড়ার বিষয়টি আরও বেশি শক্ত হয়েছে। আমি অপু এবং শাকিব দু’জনকে বলতে চাই, এখনই বিষয়টির সমাধান দরকার। জল যেন আর বেশিদূর না গড়ায়। শাকিবের অভিভাবক, অপুর অভিভাবক পাশাপাশি শাকিবকে যারা ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথম নিয়ে আসেন এফআই মানিক, সোহানুর রহমান সোহান, অপুকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া পরিচালক আমজাদ হোসেন এরা বসে আলোচনা করলে ঝামেলা মিটে যায়। আর আমরা এখন ডিজিটাল যুগে আছি, আমাদের মন-মানসিকতায় পরিবর্তন এসেছে। এরকমটা হলে ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে খুব খারাপ একটা ইতিহাস হয়ে থাকবে।

সূত্র: মোড়ল নিউজ

ad

পাঠকের মতামত