184558

‘ভায়াগ্রা পান’, মূল্য জানলে চমকে যাবেন!

ভারতের আওরঙ্গবাদের মোহাম্মদ সিদ্দিকী। বিয়ের পর একটি বিশেষ পান খাইয়েছিলেন তার মা। এরপরই সেই পানের প্রেমে পড়েন তিনি। এক পর্যায়ে সেই বিশেষ পান বানিয়ে ব্যবসা শুরু করেন তিনি। দেখতে আর পাঁচটা সাধারণ পানের খিলির মতোই। কিন্তু দেখতে একটু বড়। আসল নাম কোহিনুর পান। কিন্তু ‘ভায়াগ্রা পান’নামেই বেশি জনপ্রিয়। যেমইন জনপ্রিয় তেমনি এর দামও আকাশ ছোয়া। তিনি তার প্রতিটি পানের খিলি বিক্রি করেন ৬ হাজার টাকারও বেশি দামে।

এই পানের জন্যই লোকমুখে বিখ্যাত ‘তারা পান সেন্টার।’মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদে ৫০ বছরেরও বেশি পুরনো এই দোকানে ৫১ রকমের পান পাওয়া গেলেও, ভিড় জমে এই ভায়াগ্রা পানের জন্যই। তবে এই পানের দাম বেশ চড়া। এক খিলি পানের দাম ৫০০০ রুপি। চমকে গেলেন? দোকানির কিন্তু দাবি, এই বিশেষ পানের ভিতর যা যা মশলা দেওয়া হয় তার তুলনায় এই দাম সামান্যই। ওই পানে এক বিশেষ সুগন্ধী ব্যবহার করা হয় যা পাওয়া যায় শুধুমাত্র বাংলাতেই।

সিদ্দিকি দাবি, ভায়াগ্রা পানের ভিতর ‘কস্তুরী’ব্যবহার করা হয়। এক কিলোগ্রাম কস্তুরির দাম ৭০ লক্ষ রুপি। থাকে কেশরও। যার দাম কেজি প্রতি ৭০ হাজার রুপি। সেই সঙ্গে থাকে ৮০ হাজার রুপি প্রতি কেজি দামের গোলাপ। তবে এই পানের মূল মশলা হল সেই গোপন উপাদানটি, যা যৌন ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারে কয়েক গুণ। তবে সেই মশলা কোথা থেকে আসে, দামই বা কত, জানেন না দোকানের কোনও কর্মী। জানেন শুধুমাত্র দোকানের মালিক মহম্মদ সিদ্দিকি ও তার মা। ব্যবসায়িক স্বার্থে তারা এ বিষয়টি গোপন রেখেছেন।

সিদ্দিকীর মা-ই এই ব্যবসার মূলে। তিনিই তার ছেলে সিদ্দিকীকে গোপন রেসিপি দিয়েছেন। সেই রেসিপি অনুসরণ করে তারা এখন ভারতজোড়া খ্যাতি পেয়েছেন। এমনকি বিদেশি অনেক অতিথিও তাদের দোকানে ভিড় জমান।

বিশেষ করে ‘ভারতীয় ভায়াগ্রা’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়ায় নবদম্পতি এবং যারা যৌন জীবনে অসুখী তারা পর্যন্ত ছুটে যান ওই দোকানে।

সিদ্দিকী বলেন, আমি বিয়ের আগে এই পান বিক্রি করি নি। আমার বিয়ের পর মা আমাকে এই পান দিয়েছিলেন। তিনি আমাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন এটা আমার খাওয়া উচিত। তারপর যদি আমার পছন্দ হয় তাহলে আমাকে এটা বিক্রি করার জন্য বলেন। তারপর থেকেই এই পানের ভক্ত হয়ে যান সিদ্দিকী। তিনি এই পানকে তার দোকানের মেন্যুতে যুক্ত করেন। ফলে তার দোকানে প্রতিনিয়ত ভিড় লেগে থাকে কোহিনুর পানের জন্য। কিন্তু দামটা একটু বেশিই হয়ে যায়। তাই কম দামেও এটি বিক্রি করার একটি বিকল্প পন্থা আবিষ্কার করেছেন সিদ্দিকী। এর দাম রাখা হয় ৩০০০ রুপি।

তার দোকানের একজন কর্মচারী বলেন, ৩০০০ রুপির একটি পান যদি আপনি খান তাহলে তার প্রভাব থেকে যায় তিন দিন। এই তারা পান সেন্টারে পুরুষদের পাশাপাশি আছে নারীদের জন্য কোহিনুর পান। প্রতিদিন এই দোকান থেকে বিক্রি হয় ১ হাজার পান।

ad

পাঠকের মতামত